ছবি: আইস্টক।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে টাঙ্গাইলের দানবীর রণদাপ্রসাদ সাহা ও তাঁর পুত্র ভবানীপ্রসাদকে হত্যা এবং আরও দু’টি গণহত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে রাজাকার নেতা মাহবুবুর রহমানকে প্রাণদণ্ড দিল ঢাকার যুদ্ধাপরাধ আদালত। বিচারপতি শাহিনুর রহমানের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার ২৩৫ পাতার রায়ে বলেছে, আসামির বিরুদ্ধে আনা ৩টি অভিযোগই প্রমাণিত হওয়ায় ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগী এই রাজাকারকে।
টাঙ্গাইলে মায়ের নামে কুমুদিনী হাসপাতাল, কুমুদিনী মহিলা কলেজ এবং বাবার নামে দেবেন্দ্র কলেজের প্রতিষ্ঠাতা রণদাপ্রসাদ। ঠাকুরমার নামে গড়ে তোলেন মেয়েদের আবাসিক স্কুল ভারতেশ্বরী হোমস। ১৯৪৬-এ বাংলায় দুর্ভিক্ষের সময়ে কলকাতা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ-সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দিনের পর দিন লঙ্গরখানা চালানোর ব্যবস্থা করেন রণদাপ্রসাদ, আরপি সাহা নামে যাঁকে চিনতেন সবাই। নারায়ণগঞ্জে গড়ে তোলেন প্রথম ডকইয়ার্ড। ১৯৭১-এর ৭ মে পাকিস্তানের সহযোগী রাজাকারেরা কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের দফতর থেকে সপুত্র রণদাপ্রসাদকে ধরে নিয়ে যায়। তার পরে আর তাঁদের কোনও খোঁজ মেলেনি।