Nepalese General Election 2022

ভোট গণনার মধ্যেই বৈঠকে দেউবা-প্রচণ্ড

গত সপ্তাহে নেপালের প্রতিনিধি সভা ও সাতটি প্রাদেশিক আইনসভার নির্বাচন হয়েছে। সোমবার শুরু  হয়েছে ভোট গণনা। প্রতিনিধি সভায় ৫৩টি আসন পেয়েছে নেপালি কংগ্রেস। ফলে তারাই একক বৃহত্তম দল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কাঠমান্ডু শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২২ ০৬:৫০
Share:

প্রধানমন্ত্রী শেরবাহাদুর দেউবা ও সিপিএন-মাওবাদী সেন্টারের চেয়ারম্যান প্রচণ্ড। ছবি সংগৃহীত।

নেপালের পাঁচ দলের জোট বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেরবাহাদুর দেউবা ও সিপিএন-মাওবাদী সেন্টারের চেয়ারম্যান প্রচণ্ড।

Advertisement

গত সপ্তাহে নেপালের প্রতিনিধি সভা ও সাতটি প্রাদেশিক আইনসভার নির্বাচন হয়েছে। সোমবার শুরু হয়েছে ভোট গণনা। প্রতিনিধি সভায় ৫৩টি আসন পেয়েছে নেপালি কংগ্রেস। ফলে তারাই একক বৃহত্তম দল। ভোট গণনার মধ্যে বৈঠক শুরু করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। কয়েক দশক ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে নেপালে। তাই স্থিতিশীল সরকার গড়তে আগ্রহী সব দলই।

নেপালে আপাতত ক্ষমতায় রয়েছে পাঁচ দলের জোট। কাঠমান্ডুতে প্রধানমন্ত্রী ও নেপালি কংগ্রেস নেতা শেরবাহাদুর দেউবার সঙ্গে প্রচণ্ডের বৈঠকে স্থির হয়েছে, পাঁচ দলের জোট বজায় রাখা হবে। জনতা সমাজতন্ত্রী দলও জোটে যোগ দেবে বলে জানিয়েছেন সিপিএন-মাওবাদী দলের নেতা গণেশ শাহ। প্রতিনিধি সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে কোনও জোটের ১৩৮টি আসন প্রয়োজন। ইতিমধ্যেই নেপালের বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত নবীন শ্রীবাস্তব। ইতিমধ্যেই প্রচণ্ড ও দেউবার সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

Advertisement

নেপালে মাওবাদী আন্দোলন শেষ হওয়ার পরেও রাজনৈতিক অস্থিরতা কমেনি। কোনও প্রধানমন্ত্রীই মেয়াদের শেষ পর্যন্ত কাজ করতে পারেননি। কূটনীতিকদের মতে, পরবর্তী সরকারের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্কে ভারসাম্য বজায় রাখা, স্থিতিশীল রাজনৈতিক প্রশাসন চালানো ও পর্যটন ব্যবসার পুনরুজ্জীবন ঘটানো।

কে পি শর্মা ওলির সরকারের সময়ে চিনের সঙ্গে কাঠমান্ডুর অতিরিক্ত ঘনিষ্ঠতা অস্বস্তি বাড়িয়েছিল দিল্লির। কিন্তু দেউবা সরকারের সময়ে সেই সম্পর্কে কিছুটা স্থিতিশীলতা এসেছে বলে মত কূটনীতিকদের। সাউথ ব্লক সূত্রের মতে, কাঠমান্ডুর বেজিং-ঘনিষ্ঠতার মাত্রা বেশি হলে তা সব সময়েই দিল্লির পক্ষে অস্বস্তির। নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে ঐতিহাসিক ভাবে ভারতের রাজনৈতিক যোগ রয়েছে। ফলে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকলে সম্পর্ক স্থিতিশীল থাকবে বলেই আশা দিল্লির।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement