আয়তনে এক ফুটের চেয়ে একটু বেশি। তাতে কী? ওই ছোট্ট শরীরের নানা কসরত ও আকর্ষণ দিয়েই ইতিমধ্যে পকেটে পুরেছেন বারো লাখ টাকা আর কব্জায় রয়েছে ন’কোটিরও বেশি ফলোয়ার! সৌজন্য ইনস্টাগ্রাম।
শুধু ইনস্টাগ্রামই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যান্য প্ল্যাটফর্মেও অনুরাগীর সংখ্যাও ছুঁয়েছে প্রায় তিন কোটি। জনপ্রিয়তার দৌড়ে ইতিমধ্যেই ইনি পিছনে ফেলে দিয়েছেন সুপারওম্যান বা ড্যানিয়েল জোনাসকেও।
ইনস্টাগ্রামের একটা অ্যাকাউন্ট। আর তাতেই মজেছেন আট থেকে আশি। ভাবছেন কে সেই মানুষ? না, জাতিতে মানুষ না হলেও তার আদর ও জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। প্রতি দিন তার রোজনামচা ও নিত্যনতুন কসরত দেখতে দলে দলে মানুষ ভিড় করেন।
মাত্র কয়েক বছরেই অনলাইনে সেনসেশন হয়ে উঠেছে এই বিশেষ পমেরানিয়ান কুকুরটি। নাম তার জিফপম। নিত্যনতুন করসত তো আছেই, তার সঙ্গে জিফপমের মনখারাপ, আনন্দ, ফূর্তির সবটাই ইনস্টাগ্রামে চোখ রাখলেই জানা যায়।
শুধু আনন্দ-দুঃখই নয়, ঋতুভেদে নতুন নতুন জামাকাপড় পেলেও খুবই খুশি হয় জিফপম। সে খুশির প্রমাণও রাখা থাকে তার সোশ্যাল সাইটের পাতায়।
ইনস্টাগ্রাম ও সোশ্যাল সাইটের নানা পোস্ট মিলিয়ে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা রোজগার করেছে জিফপম। তার নিজের নামেই রয়েছে অ্যাকাউন্ট। নিজের সাজ-পোশাক থেকে দরকারি সরঞ্জামও তার নামেই কেনাকাটা করা হয়। বিপুল জনপ্রিয়তার কারণে নানা অনলাইন সাইট ও দোকান তার জন্য বিশেষ ছাড়েরও ব্যবস্থা রাখে।
তবে সোশ্যাল সাইটে নাম করার আগেই সে ঢুকে পড়েছে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। চারপেয়ে প্রাণীদের মধ্যে দু’পায়ে দাঁড়াতে পারার কৌশল সবচেয়ে দ্রুত শিখে নেওয়ার জন্যই তার এই পুরস্কার!
বিভিন্ন ডগ শো-তে পুরস্কার তো রয়েইছে, এ ছাড়া তার ‘স্মার্টনেসের’ জন্য সিনেমাতেও ইতিমধ্যেই মুখ দেখিয়ে ফেলেছে জিফপম। ২০১৩-য় ‘আ নাইট ইন কাউটাউন’ এবং ২০১৬-য় ‘জ্যাকভ সার্টোরিয়াস: হিট অর মিস’ ছবিতে তার চরিত্র বেশ আকর্ষণীয় ছিল।
‘আ নাইট ইন কাউটাউন’-এর সাফল্যের পর কার্টি পেরি-র মিউজিক ভিডিও ‘ডার্ক হর্স’-এ ২০১৪-য় মুখ দেখিয়েছে জিফপম। ইনস্টাগ্রামে প্রিয় পোষ্যর দৌড়েও ‘কিডস চয়েস অ্যাওয়ার্ড’-এর শিরোপাও তারই দখলে।
সম্প্রতি ম়ডেলিংয়েও হাত পাকাতে শুরু করেছে জিফপম। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আম্বাসাডর হওয়ার অফারও রয়েছে তার হাতে। জিফপমের আদলে সফ্ট টয়ও তৈরি হওয়ার অফার এসেছে।
তবে জিফপমের এত জনপ্রিয়তার নেপথ্যে যে কে তা আজও স্পষ্ট নয়। আদরের এই পোষ্যের দাবিদার কে, তা নিয়ে সোশ্যাল সাইটে জল্পনা চললেও তাঁর নাম এখনও সামনে আসেনি। বরং প্রিয় পমেরানিয়ানের জন্য অনলাইন কেনাকাটা থেকে সোশ্যাল সাইট দেখভাল— পুরোটাই তিনি চালান খোদ জিফপমের নামেই।