চট্টগ্রামের সীতাকুণ়্ ডিপো থেকে দেহ উদ্ধার করছেন দমকল কর্মীরা। ছবি সৌজন্য টুইটার।
বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কন্টেনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ঝলসে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৪৯ জনের। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহত হয়েছেন দুশোরও বেশি। আহতদের মধ্যে ডিপোর কর্মী ছাড়াও রয়েছেন পুলিশ এবং দমকলের কর্মীরাও। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার স্থানীয় সময় রাত ১১টা নাগাদ ডিপোয় বিস্ফোরণ হয়। সেখান থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ এবং দমকল মনে করছে, ডিপোয় একটি কন্টেনারে মজুত রাসায়নিকে বিস্ফোরণ ঘটেছে। তার পর সেখান থেকে আগুন ডিপোর অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ে। পর পর বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণও হয় বলে দাবি স্থানীয়দের। বিস্ফোরণে তীব্রতা এত বেশি ছিল যে আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়ির জানলার কাচ ভেঙে গিয়েছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা এবং উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য সেনাবাহিনীকে কাজে লাগানো হয়েছে। রবিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আশরাফ উদ্দিন। প্রথম আলো-কে তিনি বলেন, “আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা, আগুন যাতে আরও বেশি ছড়িয়ে না পড়ে এবং দ্রুত উদ্ধারকাজের জন্য সেনার ১৫০-২০০ সদস্যকে আনা হয়েছে।” তবে কোথা থেকে আগুন লেগেছে তা এখনও জানা যায়নি বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার। এই ঘটনার তদন্তের জন্য ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানান তিনি।