রাদি লাবিব প্রিন্স
চার জনকে গুলি করে মেরে পালিয়েছিল। সেই বন্দুকবাজকে ধরল পুলিশ। কাল সকালে আমেরিকার বল্টিমোরের এজউডে ‘অ্যাডভান্সড গ্র্যানাইট সলিউশন’ নামে এক সংস্থার দফতরের পাশের পার্কে ওই সংস্থারই পাঁচ জন কর্মীকে গুলি করেছিল রাদি লাবিব প্রিন্স নামে এক ব্যক্তি। সেখানে মৃত্যু হয় তিন জনের। গুরুতর আহত হয়েছিলেন দু’জন। কাল রাতের দিকে প্রিন্সকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বছর সাঁইত্রিশের প্রিন্স কাল সকালের হামলার পর থেকে পলাতক ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, মেরিল্যান্ডে গুলি চালিয়ে তিন জনকে মেরে ফেলার পরে নিজেই গাড়ি চালিয়ে ডেলাওয়ারের উইলমিংটন যায় সে। সেখানেই জন্ম, বেড়ে ওঠা তার। সেখানে একটি গাড়ির শো-রুমে ঢুকে পড়ে আরও এক ব্যক্তিকে গুলি করে মারে প্রিন্স। মেরিল্যান্ডে ব্যবহার করা বন্দুকই সে উইলমিংটনে ব্যবহার করেছিল বলে প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছে পুলিশ। পরে ডেলাওয়ারে তার গাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। রাতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কেন এত জনকে প্রিন্স গুলি করল, সে প্রশ্ন উঠছে। ডেলাওয়ার পুলিশের বক্তব্য, একেবারে পুরনো শত্রুতার জেরেই এই খুন। মেরিল্যান্ডে সে যাঁদের মেরেছে, তাঁরা প্রত্যেকেই প্রিন্সের পরিচিত। ডেলাওয়ারে নিহত ব্যক্তিও খুনির পূর্বপরিচিত। সেখানকার পুলিশের একাংশের বক্তব্য, নিহত ব্যক্তি গোমাংস খেত, যা হয়তো পছন্দ ছিল না প্রিন্সের। নিহত ব্যক্তি বা প্রিন্সের অতীতে অপরাধের সঙ্গে যোগসাজস ছিল বলেও সন্দেহ পুলিশের।
তবে উইলমিংটনে প্রিন্সের একদা প্রতিবেশী কারেন ফ্লাওয়ার্স সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি প্রিন্সকে জন্মাতে দেখেছেন। সে এমন কাজ করতে পারে বলে বিশ্বাসই করতে পারছেন না কারেন। ওই মহিলার কথা অনুযায়ী, প্রিন্সের বাবা-মা অত্যন্ত যত্ন নিয়ে তাকে মানুষ করেছিলেন। শাসনও করা হতো প্রিন্সকে। হঠাৎ কী হলো, যে এতগুলো মানুষকে সে একসঙ্গে মেরে ফেলল, তা ভেবে উঠতে পারছেন না উইলমিংটনের অধিকাংশ বাসিন্দা। কারেনও একই কথা বললেন। তাঁর কথায়, ‘‘ও মোটেও কোনও খারাপ বাড়ির ছেলে নয়। আমি শুধু ভাবছি, কী এমন হলো যে এই সাঙ্ঘাতিক রাস্তা বাছতে হলো ছেলেটাকে।’’