ইউন সুক-ইওল। ছবি: সংগৃহীত।
পড়শি দেশ উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সংঘাতের আবহে এ বার দক্ষিণ কোরিয়ায় জারি হল সামরিক আইন (মার্শাল ’ল)! আর তার পরেই মঙ্গলবার বিকেল থেকে পূর্ব এশিয়ার ওই দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে বিক্ষিপ্ত অশান্তি।
প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের যুক্তি উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উনের মদতে ক্ষমতা দখলের ছক কষছে বিরোধীরা। তাই এই পদক্ষেপ। তিনি বলেন, উদারপন্থী দক্ষিণ কোরিয়াকে উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট বাহিনীর আগ্রাসন থেকে সুরক্ষা দিতে এবং রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিদের নির্মূল করতে আমি জরুরি ভিত্তিতে সামরিক আইন জারি করছি।’’
আগামী অর্থবর্ষের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে প্রেসিডেন্ট ইওলের দল পিপলস পাওয়ার পার্টি এবং প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। এই আবহে মঙ্গলবার মার্শাল ’ল জারির খবর পেয়েই বিরোধী পার্লামেন্ট সদস্যেরা ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভবনে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পুলিশের সঙ্গে বিরোধী সমর্থকদের সংঘর্ষও হয়। এর আগে সামরিক আইন জারির বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন বিরোধী সদস্যেরা। ৩০০ সদস্যের মধ্যে ১৯০ জন তা সমর্থন করেন। সেই তালিকায় ইওলের দলের অনেকে ছিলেন।