শীত আসার আগে যুদ্ধ কী ভাবে থামানো যায় চিন্তায় ইউক্রেন। ফাইল চিত্র।
ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত। নতুন করে রুশ বাহিনীর হামলায় অন্তত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ইউক্রেনের বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রগুলি। তার জেরে অন্ধকারে ডুবেছে বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রবল শীতে বিদ্যুৎহীন অন্তত ১ কোটি ইউক্রেনীয় বাসিন্দা।
গত কাল গভীর রাতে সাংবাদিক বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি বলেন, ‘‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য যা যা করা যায়, আমরা করছি।’’ তিনি জানিয়েছেন, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমে ৬টি ক্রুজ় মিসাইল ও পাঁচটি ড্রোন ধ্বংস করেছেন তাঁরা। কিন্তু তাতেও লাভ হচ্ছে না।
শীত আসার আগে যুদ্ধ কী ভাবে থামানো যায়, তা নিয়ে এক সময়ে দীর্ঘ আলোচনা চালিয়েছিল ইউক্রেন-সহ ইউরোপের দেশগুলি। কিন্তু রাশিয়াকে শীতকেই অস্ত্র করছে। বেছে বেছে জ্বালানি কেন্দ্র, বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিকে নিশানা করছে। যার জেরে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ভান্ডারে টান পড়তে শুরু করেছে। মাঝেমধ্যেই অন্ধকারে ডুবছে বিস্তীর্ণ এলাকা।
গত কাল কিভের বাসিন্দাদের ঘুম ভাঙে যখন, কম্বল বরফঠাণ্ডা। বাড়ির শীত নিয়ন্ত্রণকারী বৈদ্যুতিন ব্যবস্থা বিদ্যুতের অভাবে অকেজো হয়ে গিয়েছিল। গত কাল এই সমস্যায় পড়েছিল রাজধানী কিভ, পশ্চিমের শহর ভিনিতসিয়া, দক্ষিণ-পশ্চিমের বন্দর শহর ওডেসা এবং উত্তর-পূর্বের সুমি।
গত কাল গোটা ইউক্রেন জুড়ে বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। দক্ষিণের শহর জ়াপোরিজিয়ার কাছে ভিলনানস্কে একটি আবাসনে এসে পড়েছিল ক্ষেপণাস্ত্র। তাতেই ৭ জনের মৃত্যু হয়। অন্যত্র অবশ্য মৃত্যুর খবর নেই। নিকোপোলের মাটিতে এসে পড়েছে ৭০টি শেল। পূর্বের একটি গ্যাস উৎপাদনকারী কারখানা এবং নিপ্রোয় একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনকারী কেন্দ্রকে নিশানা করেও হামলা চালায় রাশিয়ার বাহিনী।
জ়েলেনস্কি বলেছেন, ‘‘রাশিয়া শান্তি চায় না। বরং যত বেশি কষ্ট, যন্ত্রণা মানুষকে দেওয়া যায়, সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে।’’
ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে এশিয়ার দেশগুলি তুলনায় অনেকটাই নীরব। আজ ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে এশিয়ার দেশগুলিকে একজোট হওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, এই যুদ্ধ এশিয়ার জন্যেও যথেষ্ট ‘মাথা ব্যথার কারণ’।