ছবি সংগৃহীত।
এক বছরের বেশি পেরিয়েছে, তা সত্ত্বেও আধুনিক বিশ্বকে অতিমারি শব্দটির সঙ্গে পরিচয় করানো সেই করোনার দাপট এখনও অব্যহত। সংক্রমণের জেরে বিশ্ব জুড়ে মৃতের সংখ্যা ২৬ লক্ষ পেরিয়েছে। এখনই উপযুক্ত পদক্ষেপ না নেওয়া হলে অতিমারি পরিস্থিতির জেরে এ বার অনাহারে মৃতের সংখ্যাও লক্ষের মাত্রা পেরোতে বেশি সময় নেবে না— বৃহস্পতিবার বিশ্ববাসীর কাছে এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস।
এ দিন রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠক চলছিল খাদ্য এবং নিরাপত্তার মধ্যে যোগসূত্র নিয়ে। সেই বৈঠকে দাঁড়িয়ে গুতেরেস বলেন, ‘‘তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ প্রয়োজন। তা না-হলে বিশ্ব জুড়ে লক্ষাধিক মানুষ চূড়ান্ত খাদ্যাভাব এবং মৃত্যুর দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে।’’ এই দুর্গতদের তালিকার সিংহভাগেই রয়েছে সামাজিক ভাবে পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠীগুলি। তাঁর মন্তব্য, ‘‘এই দুর্গত মানুষগুলিকে চরম পরিস্থিতির মুখে ঠেলে দিয়েছে অতিমারি। তাতে ইন্ধন জুগিয়েছে আবহাওয়ার বিরূপ পরিবর্তনও।’’ তিনি আরও জানান, বর্তমানে কমপক্ষে ৩৬টি দেশ জুড়ে খরা পরিস্থিতি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে তাঁদের ফিরিয়ে আনতে আর্থিক দিক থেকে তো বটেই সেখানে গিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর জন্যেও বিশ্বের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন গুতেরেস। একই সঙ্গে তাঁর বিস্ফোরক মন্তব্য, ‘‘শুধু খাবারের অভাবে খরা বা খ্যাদাভাব সৃষ্টি হয় না। এখন এই সঙ্কটের বেশির ভাগটাই কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা— হ্যাঁ, আমি ভেবেচিন্তেই কথাটা বললাম।’’ সঙ্গে গুতেরেসের হুঙ্কার, ‘‘২১ শতকে অন্তত খরা বা অনাহারের কোনও জায়গা নেই।’’