ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন রাস্তাঘাট। শনিবার ইয়েমেনের সানায়। ছবি: রয়টার্স।
বৃষ্টি-বিধ্বস্ত পাকিস্তানে বাড়ি ভেঙে, বজ্রাঘাতে ও হড়পা বানে গত এক সপ্তাহে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৮৭ জন। গুরুতর ভাবে আহত অন্তত ৮০। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দুর্গম খাইবার পাখতুনখোয়া এবং পঞ্জাব প্রদেশ। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃত্যুর ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তবে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের (এনডিএমএ) আশঙ্কা, আগামী বেশ কিছু দিন এমন দুর্যোগের পরিস্থিতি চলতে পারে।
সাধারণত গোটা এপ্রিলে যে পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ার কথা পাকিস্তানে, বিগত কিছু দিনেই সেই তুলনায় কয়েক গুণ বেশি বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশের প্রশাসন। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির জেরে এখনও জলমগ্ন হয়ে রয়েছে খাইবার পাখতুনখোয়া এবং পঞ্জাব প্রদেশের বহু এলাকা। দুর্যোগের জেরে ক্ষয়ক্ষতির সংখ্যাও নেহাত কম নয়। এনডিএমএ সূত্রে খবর, অন্তত দু’হাজার সাতশোটি বাড়ি ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনাতেই মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। এ ছাড়াও, বজ্রাঘাত, হড়পা বানের কারণেও মৃত্যু হয়েছে অনেকের।
কিছুটা একই রকমের উদ্বেগজনক পরিস্থিতি আফগানিস্তানেও। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গত চার দিনে আফগানিস্তানে মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের। এই নিয়ে এ মাসে শতাধিক মৃত্যু হয়েছে সে দেশে। প্রবল বৃষ্টিতে বানভাসি ইয়েমেনের সানাও।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত খাইবার পাখতুনখোয়ায় ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৫৩ জন। পূর্ব পঞ্জাব প্রদেশে ২৫ জনের মৃত্যু ও ৮ জনের আহত হওয়ার খবর মিলেছে। এ ছাড়াও, দক্ষিণ-পশ্চিম বালুচিস্তানে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। এখনও পর্যন্ত আহত ১০ জন। পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে আহত ও মৃতের সংখ্যা ১১।
আগামী দু’দিনও একই ভাবে ঝড়-বৃষ্টি-বজ্রপাতের আশঙ্কা রয়েছে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। দেশের নানা জায়গায় হড়পা বানের আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছে না এনডিএমএ। আগামী দিনে যাতে হতাহতের সংখ্যা না বাড়ে, সে দিকে নজর রয়েছে প্রশাসনের।