মনমোহন সিংহ। —ফাইল চিত্র
আগামী ৯ নভেম্বর খুলতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত করতারপুর করিডর। সেই অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে পাকিস্তানের আমন্ত্রণে বিশেষ অতিথি হিসেবে যাবেন না প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। বরং এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে এক জন সাধারণ পুণ্যার্থী হিসেবেই সেখানে উপস্থিত থাকবেন তিনি। মনমোহনের ঘনিষ্ঠ মহলের খবর, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহের নেতৃত্বে যে শিখ প্রতিনিধি দল করিডরে যাবে, সেই দলের অন্যতম সদস্য হিসেবে গুরুদাসপুরের ডেরা বাবা নানক থেকে নানকানা সাহিব পর্যন্ত যাবেন তিনি। শ্রদ্ধা জানিয়ে ওই দিনই ফিরবেন তিনি।
শনিবারই মুলতানে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি দাবি করেন, মনমোহন আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। উদ্বোধনে যোগ দেবেন প্রাক্তন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী।
প্রস্তাবিত করিডরটি পঞ্জাবের গুরুদাসপুরের ডেরা বাবা নানক তীর্থক্ষেত্র থেকে পাকিস্তানের করতারপুরের দরবার সাহিব পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। করতারপুরের গুরুদ্বার দরবার সাহিব থেকে ভারতীয় সীমান্ত পর্যন্ত করিডরটি তৈরির দায়িত্বে পাকিস্তান। পাক সীমান্ত থেকে ডেরা বাবা নানক পর্যন্ত অংশ তৈরি করছে ভারত।
দু’দেশের মধ্যে বিস্তৃত ওই করিডরে প্রবেশের জন্য ভারতীয় পুণ্যার্থীদের কোনও ভিসা লাগবে না। শুধু মাত্র অনুমতিপত্র থাকলেই প্রবেশ করা যাবে করিডরে। রবিবারই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়েছেন, আগামী ৯ নভেম্বর করতারপুর করিডরের উদ্বোধন হবে। তিনি বলেছেন, ওই দিন থেকেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় গুরুদ্বার দর্শন করতে পারবেন গোটা বিশ্বের শিখ পুণ্যার্থীরা। ওই করিডর তৈরির মাধ্যমে স্থানীয় অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে বলে আশাবাদী ইমরান। পর্যটন, পরিষেবা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তৈরি হবে কাজের সুযোগ। বাড়বে বিদেশি মুদ্রার আমদানিও।
তবে এখনও অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়নি। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, করিডরে প্রবেশের জন্য পুণ্যার্থীদের কাছে ২০ ডলার ধার্য করেছে পাকিস্তান। যা মেনে নিতে এখনও রাজি নয় ভারত। এ ছাড়া আরও কিছু বিষয়ে মতৈক্য হয়নি দু’দেশের। তাই শুরু করা যায়নি রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া।