Manipur Violence

মায়ানমারের কুকি জঙ্গি গ্রেফতার মণিপুরে! ‘আমি তো আগেই বলেছিলাম’, বললেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন

অনুপ্রবেশকারীদের মদতেই রাজ্যের পাহাড়ি অঞ্চল এবং কুকি জনজাতি অধ্যুষিত গ্রামগুলিতে মাদক চাষের রমরমা, এমন মতও রয়েছে মণিপুরে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:৫১
Share:

মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ। —ফাইল চিত্র।

ঠিক এক বছর আগে মণিপুরে গোষ্ঠীহিংসা রুখতে মায়ানমাার সীমান্ত পুরোপুরি সিল করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলেন তিনি। সোমবার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওই বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহ অভিযোগ তুললেন, এখনও হিংসায় বিদেশি মদত চলছে।

Advertisement

গত সপ্তাহে অনুপ্রবেশকারী মায়ানমারের এক কুকি জঙ্গিকে গ্রেফতার করে অসম রাইফেলস। জঙ্গিগোষ্ঠী কুকি ন্যাশনাল আর্মি (বার্মা) ওই সদস্যের পরিচয় জানার পরেই ইম্ফলের প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করেন বীরেন। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আমি বার বার দাবি করেছি, এই হিংসার পিছনে বিদেশি মদত রয়েছে। আজ তা প্রমাণিত হল।’’

প্রায় দেড় বছর ধরে গোষ্ঠীহিংসায় উত্তপ্ত মণিপুর। এখনও সেখানে শান্তিপ্রতিষ্ঠা করা যায়নি। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে হিংসার নেপথ্যে মায়ানমার সীমান্ত দিয়ে ঢোকা অনুপ্রবেশকারীদের হাত রয়েছে, এমনটা আগেও জানিয়েছে মণিপুর সরকার। এই অনুপ্রবেশকারীদের মদতেই রাজ্যের পাহাড়ি অঞ্চল এবং কুকি জনজাতি অধ্যুষিত গ্রামগুলিতে মাদক চাষের রমরমা, এমন মতও রয়েছে মণিপুরে। রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই গোষ্ঠীর অভিযোগ, গোষ্ঠীসম্পর্ক থাকার কারণে কুকি জঙ্গিদের একাংশ মায়ানমারে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী বীরেনের সীমান্ত বন্ধের এই আর্জিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

নরেন্দ্র মোদী সরকারের ‘লুক ইস্ট’ বা ‘পুবে তাকাও’ নীতির অঙ্গ হিসাবে ২০১৮ সালে একটি পারস্পরিক বোঝাপড়ায় আসে ভারত এবং পড়শি মায়ানমার। বলা হয়, দু’দেশের জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ সীমান্তের দু’ধারে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত যাতায়াত করতে পারবেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এই বন্দোবস্ত বন্ধের আর্জি জানিয়েছে বিজেপি শাসিত মণিপুর সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সেই অনুরোধে পদক্ষেপ করলেও অনুপ্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি বলে অভিযোগ।

অন্য দিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মঙ্গলবার জানিয়েছেন, বুধবার মণিপুরে ১৬টি নতুন কেন্দ্রীয় পুলিশ কল্যাণ ভান্ডারের উদ্বোধন হবে। সেগুলির মাধ্যমে কম মূল্যে পণ্য পাবেন সে রাজ্যের বাসিন্দারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement