এই সেই ভাইরাল মাস্ক-এর ছবি। টুইটার থেকে নেওয়া।
৪৪ বছরের নেঙ্গা বুধিয়াসা। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে একটি কার পার্কিং লটে কাজ করেন। সম্প্রতি তিনি খবরের শিরোনামে। কারণ, করোনা অতিমারির মধ্যে কাজ চালিয়ে যাওয়ার এক আজব পদ্ধতি বের করেছেন। তা দেখে হাসতে হাসতে পেটে ব্যথা হয়ে যাওয়ার জোগাড় সকলের।
করোনাকে রুখতে প্রত্যেকেই নিজের মতো করে ব্যবস্থা নিয়েছি আমরা। বার বার হাত ধোয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি মাস্কের ব্যবহার, এ সবই এখন প্রচলিত। আর সেখানেই নতুনত্ব এনে সকলকে চমকে দিয়েছেন নেঙ্গা।
ভাইরাল হওয়া এক ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, করোনার মধ্যে মুখে অদ্ভুত দর্শন কিছু পরে গাড়ি সামলানোর কাজ করছেন নেঙ্গা। ভাল করে দেখলে বোঝা যায়, ওই মাস্ক আসলে একটি নারকেলের মালা। যা মাস্কের মতো করে মুখে পরেছেন নেঙ্গা। নারকেলের মালার ঠিক মাঝখানের ফুটো দিয়ে বেরিয়ে এসেছে একটি হুইস্ল। গাড়ি সামলাতে গিয়ে বার বার যা বাজাচ্ছেন নেঙ্গা।
ওই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই নেটমাধ্যমে ভাইরাল। পাশাপাশি তা পৌঁছয় নেঙ্গার অফিস কর্তৃপক্ষের কাছেও। পত্রপাঠ ডেকে পাঠানো হয় নেঙ্গাকে। জানতে চাওয়া হয় মাস্কের বদলে মুখে নারকেলের মালা কেন? নেঙ্গার জবাবে সন্তুষ্ট হয়নি অফিস। শাস্তি হিসাবে ডন বৈঠক দিতে হয় নেঙ্কাকে। শাস্তি শেষে নেঙ্গার হাতে তুলে দেওয়া হয় একটি সার্জিক্যাল মাস্ক।
কিন্তু নেঙ্গা নারকেলের মালা মুখে পরলেন কেন? জবাব দিয়েছেন নেঙ্গা নিজেই। জানিয়েছেন, কাপড়ের মাস্ক পরে কাজ করতে বেজায় অসুবিধা হয়। বার বার হুইস্ল বাজাতে গিয়ে মাস্ক হাত দিয়ে নীচে নামাতে হয়। এতে এক দিকে সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়ে, আবার বার বার হাত লাগার ফলে মাস্ক নোংরা হয়ে পড়ে অনেক দ্রুত। তাই সব দিক ভেবে শক্তপোক্ত ও টেকসই নারকেলের মালাকেই মাস্ক বানিয়ে পরে ফেলেন নেঙ্গা। মাঝে ফুটো করে হুইস্ল লাগিয়ে নেওয়ায় বার বার হাত ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। কিন্তু নেঙ্গার এই আবিষ্কার মানতে পারেনি তাঁর সংস্থা। ডন বৈঠকের পাশাপাশি ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যেন না ঘটে, তারও সতর্কবার্তা পেয়েছেন নেঙ্গা।