‘নববধূ’ কুকারের সঙ্গে সেই যুবক। ছবি সৌজন্য টুইটার।
ভাতও রান্না করে দেবে, আবার কথায় কথায় ঝগড়াও করবে না। এমনই এক জীবনসঙ্গিনী খুঁজছিলেন এক যুবক। শেষমেশ পেয়েও গেলেন। পাত্রী বটে, তবে রক্ত-মাংসের নয়। ভাতও জুটবে, ঝগড়াও হবে না এমন পাত্রীকে বাছতে গিয়ে শেষমেশ রাইস কুকারকেই বেছে নিলেন তিনি। চমকের এখানেই শেষ নয়।
ওই যুবক রীতিমতো বরের পোশাক পরে, মালা গলায় সাক্ষী রেখে বিয়ে করলেন কুকারকে। তাকে কনের বেশেও সাজালেন। ডেকে আনলেন ম্যারেজ রেডিস্ট্রারকে। সইসাবুদ করে পাকাপাকি ভাবে কুকারকে বিয়ে করলেন তিনি। নানা ভাবে ছবিও তুললেন ‘নববধূ’র সঙ্গে।
কোনও ছবিতে তাঁকে দেখা যাচ্ছে ঘোমটা পরানো কুকার হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। আর একটা ছবিতে ‘নববধূ’ কুকারকে চুম্বন করতে দেখা যাচ্ছে। অন্য একটি ছবিতে কয়েক জনকে সাক্ষী রেখে বিয়ের সইসাবুদ করছেন। নেটমাধ্যমে এই ছবি ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কেউ কটাক্ষ করেছেন তো কেউ আবার নবদম্পতিকে শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছেন।
তবে ইন্দোনেশিয়ার সেই ব্যক্তি খইরুলের এই দাম্পত্য জীবন বেশি দিন সুখের হয়নি। এই কাহিনিতে একটা বিরহও রয়েছে। বিয়ের চার দিন পরই ‘নববধূ’র সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় খইরুলের। সেই বিচ্ছেদের খবর নিজেই ঘোষণা করেছেন তিনি। যে কারণের জন্য কুকারকে বিয়ে করেছিলেন খইরুল, এ বার তাঁর গলায় ধরা পড়ল অন্য সুর। খুইরুলের দাবি, ভাত রান্না করতে পারলেও অন্য কোনও খাবার তৈরি করতে পারে না তাঁর ‘স্ত্রী’! আর সে কারণেই তাকে নিজের জীবন থেকে বিচ্ছেদ করেছেন।