মলেই সংসার পেতে ফেলেছিলেন যুবক। প্রতীকী ছবি।
বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। থাকার জন্য দ্রুত আশ্রয় খোঁজার প্রয়োজন ছিল। তখনই মাথায় বুদ্ধি খেলে যায়। শপিং মলের মধ্যে দিব্যি নিজের থাকার ব্যবস্থা করে নেন আমেরিকার যুবক মাইকেল টাউনসেন্ড। ডেকে আনেন বন্ধুদেরও। সকলের নজর এড়িয়ে ৪ বছর শপিং মলে বেআইনি ভাবে থেকেছেন তিনি ও তাঁর বন্ধুরা। অবশেষে ধরা পড়ে যান নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে।
আমেরিকার রোড আইল্যান্ডের বাসিন্দা মাইকেলের কাণ্ড রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে। প্রভিডেন্স প্লেস মলে ৪ বছর লুকিয়ে বাস করছিলেন তাঁরা। সকলের চোখের সামনে দিয়েই যাতায়াত করতেন, কিন্তু কেউ তাঁদের চালাকি ধরতেই পারেননি।
শপিং মলে ৪ বছর থেকেছেন যুবক। ছবি সংগৃহীত।
মাইকেল জানিয়েছেন, অনেক বছর আগে এক বার ভোরবেলা হাঁটতে বেরিয়ে শপিং মলের মধ্যেকার ঘরটি দেখতে পেয়েছিলেন তিনি। মলটির নকশা অনুযায়ী ওই ঘরটি ছিল পরিত্যক্ত। কোনও কাজে লাগত না বলে সকলের চোখের আড়ালে ছিল ওই ঘর। পরে যখন তাঁর বাসস্থানের প্রয়োজন হয়, আবার সেই মলে ফিরে যান তিনি। দেখেন, পরিত্যক্ত ঘরটি আগের মতোই রয়ে গিয়েছে।
সকলের নজর এড়িয়ে ঘরটিকে বাসযোগ্য করে তোলেন মাইকেল। সেখানেই থাকতে শুরু করেন। কেউ যাতে তাঁর অভিসন্ধি বুঝতে না পারে, সেই ব্যবস্থাও করে রেখেছিলেন যুবক। সাড়ে সাতশো বর্গফুটের ঘরে রেখেছিলেন সোফা ও অন্যান্য আসবাব। ঘরটিতে শুধু জলের ব্যবস্থা করতে পারেননি মাইকেলরা। সর্বসাধারণের ব্যবহৃত শৌচাগারই তাঁদেরও ব্যবহার করতে হত।
অনধিকার প্রবেশের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে মাইকেলকে। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ উড়িয়ে যুবক দাবি করেছেন, শপিং মলের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ উপভোগ করার জন্য সেখানে কিছু দিন থেকেছিলেন তিনি। অনধিকার প্রবেশ করেননি। এই দাবির সত্যতা প্রমাণের জন্য সময় দেওয়া হয়েছে তাঁকে। তবে ওই শপিং মল কর্তৃপক্ষ মাইকেলকে তাঁদের মলে নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন।