আমেরিকার অরিগনের বাসিন্দা জেভ ফোরস। তিনি পড়েছেন মহা সঙ্কটে। মগজাস্ত্রের বহু প্রয়োগেও বুঝতে পারছেন না কী করবেন।
যে দিকেই তাকাচ্ছেন, যাঁর দিকেই নজর পড়ছে আচমকা সবাইকেই ভাই বা বোন মনে হতে শুরু করেছে তাঁর!
২৪ বছরের জেভ তাই কাউকে প্রেমের প্রস্তাবও দিতে পারছেন না। ‘ভাই-বোনের’ ভিড়ে প্রেমিকা খুঁজতে চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছেন তিনি।
জেভের কাহিনি শুনতে যেমন হাস্যকর তেমনই তাঁর দুর্দশা দেখে দুঃখ পাচ্ছেন অনেকেই। হাসিখুশি জেভের এমন অদ্ভুত পরিণতির কারণ কী?
সম্প্রতি জেভ জানতে পেরেছেন তাঁর বাবা একজন শুক্রাণুদাতা। শুক্রাণু বিক্রি করেন তিনি।
এখনও পর্যন্ত অন্তত ৫০০ বার শুক্রাণু বিক্রি করেছেন তিনি। এটা জানার পর থেকেই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তাঁর।
কোনও ডেটিং অ্যাপের উপর ভরসা করতে পারছেন না। রাস্তাঘাটে কাউকে পছন্দ হলেও সাহস করে প্রেম প্রস্তাব দিতে পারছেন না।
উল্টে তাঁর পরিচয় জেনে আগে গবেষণা চালাতে হচ্ছে। ওই মহিলা তাঁর বোন নয় তো!
গত কয়েক বছরে জেভের একমাত্র কাজ তাঁর সমস্ত ভাই-বোনেদের খুঁজে বার করা।
এখনও পর্যন্ত ৮ ভাই এবং বোনকে খুঁজে পেয়েছেন তিনি। এবং তাঁদের সবাই জেভের আশেপাশেই থাকেন।
এর জন্য আশেপাশের অনেকেরই ডিএনএ পরীক্ষা করিয়েছেন জেভ। তাতে তাঁর কাছে প্রথম বিস্ময়ের বিষয় হল ডেরেন ম্যাকলেনান কলন।
ডেরেন তাঁরই স্কুলে পড়তেন। জেভের থেকে ২ বছরের বড় ডেরেন। দু’জনে একসঙ্গে স্কুলে ছিলেন। অনেক বার কথাও হয়েছে। অথচ কেউ জানতে পারেননি তাঁদের সম্পর্কের বিষয়ে।
তাঁর আরও দুই ভাইয়েরও একই দশা। একই আবাসনে পাশাপাশি ব্লকে থাকেন তাঁরা। অথচ জানতেন একে অপরের ভাই হন। জেভের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর এবং ডিএনএ পরীক্ষাতেই বিষয়টি জানতে পারেন তাঁরা।
জেভের বাড়ির কাছেই বাস করেন এমন এক জন বোনের খোঁজও পেয়েছেন তাঁরা। নিজের ভাইবোনেদের খোঁজ পেতে মরিয়া জেভ তাই অ্যানসেস্ট্রি.কম-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
১৯৯৬ সালের এই সংস্থার সদর দফতর রয়েছে আমেরিকার লেহিতে। এই সংস্থা বংশগত রেকর্ড খুঁজে পেতে সাহায্য করে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জেভ জানতে পারেন গত ১০ বছরে অন্তত ৫০০ বার শুক্রাণু বেচেছেন তাঁর বাবা।
৫০০ বার শুক্রাণু দান করে গত ১০ বছরে অন্তত ৫০টি সন্তানের জন্মও দিয়েছেন তিনি। কারও সঙ্গে ডেটে যাওয়ার আগে সেই ৫০ জনকেই খুঁজে বার করতে চান জেভ।