Death in Jamaica

মদ খাওয়ার প্রতিযোগিতা, ককটেল পান করে মৃত্যু প্রৌঢ়ের

জামাইকার সেন্ট অ্যান এলাকায় একটি বিলাসবহুল হোটেলে পরিবার-সহ উঠেছিলেন টিমোথি। বুধবার সকাল থেকেই টিমোথি বিয়ার এবং ব্র্যান্ডি পান করে চলেছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

জামাইকা শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২৩ ১৩:২১
Share:

প্রতীকী ছবি।

পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে জামাইকা ঘুরতে গিয়েছিলেন ব্রিটেনের বাসিন্দা টিমোথি অ্যালান সাদার্ন। ঘুরতে গিয়ে উত্তেজনার বশে একের পর এক ককটেল পান করতে শুরু করেন তিনি। কিন্তু অতিরিক্ত মদ্যপান সহ্য হয়নি তাঁর। ককটেল পান করার কারণে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ৫৩ বছর বয়সের টিমোথি। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, জামাইকার সেন্ট অ্যান এলাকায় একটি বিলাসবহুল হোটেলে পরিবার-সহ উঠেছিলেন টিমোথি। বুধবার সকাল থেকেই টিমোথি বিয়ার এবং ব্র্যান্ডি পান করে চলেছিলেন বলে দাবি করেন পরিবারের এক সদস্য। সে দিন কানাডার দুই মহিলার সঙ্গে আলাপ হয় টিমোথির। দুই মহিলা টিমোথিকে জানান যে তাঁরা জন্মদিন উদ্‌যাপন করতে জামাইকা গিয়েছেন। নিজেদের মধ্যেই একটি প্রতিযোগিতা করছেন তাঁরা।

Advertisement

বুধবার মধ্যরাতের মধ্যে যে ২১টি ককটেল পান করতে পারবেন, সেই বিজয়ী হবেন। উত্তেজনার বশে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন টিমোথিও। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূ্ত্রে জানা যায়, টিমোথি সেখানকার একটি বারে গিয়ে ১২ ধরনের ককটেল পান করেন। তার পর হোটেলের রুমে ফিরে আসেন তিনি। হোটেলে ফিরতেই শরীর খারাপ হতে শুরু করে টিমোথির। তাঁর পরিবারের এক সদস্য বলেন, ‘‘ওর যেন শ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিল। পরে বমিও করে প্রচুর। আমি অ্যাম্বুল্যান্সে খবর দেওয়ার জন্য অনুরোধ করি। কিন্তু হোটেল থেকে কিছু করা হয়নি।’’

টিমোথির মৃত্যুর জন্য জামাইকার হোটেলের দুর্বল ব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছেন পরিবারের ওই সদস্য। তিনি বলেন, ‘‘হোটেলের তরফে এক নার্সকে পাঠানো হয়। কিন্তু তাঁকে দেখে বোঝা যাচ্ছিল যে তাঁর উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নেওয়া হয়নি। পাল্স দ্রুত হারে কমতে শুরু করেছিল টিমোথির। তা-ও বুঝতে পারেননি নার্স। অ্যাম্বুল্যান্স ডাকার সময় কোনও ব্যস্ততা দেখলাম না। সঠিক সময় অ্যাম্বুল্যান্সে হাসপাতাল নিয়ে গেলে আজ টিমোথি হয় তো আমাদের সঙ্গেই থাকত। নার্স এসে শুধু বুকের উপর চাপ দিচ্ছিলেন। সিপিআর টুকুও দেওয়া যায়নি টিমোথিকে।’’ ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন অন্য কোনও কারণে নয়, বরং অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণেই মারা গিয়েছেন টিমোথি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement