ওড়িশায় রথযাত্রা উপলক্ষে আয়োজন। প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ত্রিপুরার সঙ্গে ওড়িশাও। রথের চূড়া বৈদ্যুতিক তার স্পর্শ করায় জগন্নাথের রথে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হল তিন জনের। বুধবার ওড়িশায় দু’টি পৃথক ঘটনায় রথে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া, পুরীতে জগন্নাথের রথ টানতে গিয়ে দড়ি ছিঁড়ে আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন।
বুধবার উল্টোরথ উপলক্ষে দেশের নানা প্রান্তে রথ টানার উৎসব পালিত হয়েছে। ওড়িশার কেওনঝাড় এবং কোরাপুট জেলায় পৃথক দু’টি ঘটনা ঘটে। কেওনঝাড়ে জগন্নাথের রথের চূড়া রাস্তার বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে এলে রথের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা দু’জন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়। মৃতেরা হলেন যুগল কিশোর বারিক (৪৫) এবং বরুণ গিরি (৫০)। এ ছাড়া, এই ঘটনায় দু’জন আহতও হয়েছেন।
কোরাপুটেও অনুরূপ ঘটনা ঘটে। রথে তড়িদাহত হয়ে সেখানে মৃত্যু হয়েছে বিশ্বনাথ নায়েক নামের ২২ বছরের যুবকের।
পুরীতে উল্টোরথ উপলক্ষে জগন্নাথের রথ টানার সময় রথের দড়ি ছিঁড়ে যায়। ছ’জন এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। তাঁরা রথ টানছিলেন। দড়ি আচমকা ছিঁড়ে গেলে সকলে ছিটকে পড়েন। আহতদের জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
রথে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থাকে দুষেছে রথযাত্রা কমিটি। সংশ্লিষ্ট সংস্থার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ, রথ টানার সময় সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা মানেননি। সেই কারণেই এই অঘটন।
কোরাপুট থানায় আইসি কিরণবালা সমল জানিয়েছেন, দুর্ঘটনা কী ভাবে ঘটল, কারা এর নেপথ্যে দায়ী, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।
ত্রিপুরায় রথে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বুধবার সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। রথের চূড়া একটি উঁচু বৈদ্যুতিক তারে স্পর্শ করলে সেটিতে আগুন লেগে যায়। রাজ্য প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃতদের মধ্যে ছিলেন তিন শিশু, তিন মহিলা। গুরুতর জখম হন ১৬ জন।