বেয়ে বেয়ে ৪৮ তলার মাথায়! ছবি: টুইটার
৪৮ তলা বহুতল। তরতরিয়ে তার গা বেয়ে মাথায় উঠে পড়লেন ৬০ বছরের বৃদ্ধ। নিজের ৬০তম জন্মদিনটিকে এ ভাবেই রাখলেন স্মরণীয় করে।
ফ্রান্সের বাসিন্দা আলাইন রবার্ট। গগনচুম্বী বহুতল বা যে কোনও উঁচু জায়গা বেয়ে ওঠাই তাঁর কাজ। এই কাজের জন্য অনেকে আলাইনকে ‘ফ্রেঞ্চ স্পাইডারম্যান’ বলেও ডাকেন। ৬০ বছর বয়সে কার্যত ‘বুড়ো হাড়ে ভেলকি’ দেখালেন সেই আলাইন। ৬০তম জন্মদিনেই প্যারিসের ‘ত্যুর টোটাল’ নামক বহুতলটি বেয়ে উঠলেন অনায়াসে।
বহুতলটি ৪৮ তলা, উচ্চতা ১৮৭ মিটার। দড়ি বা অন্য কোনও রকম সুরক্ষা ছাড়াই তার মাথায় উঠেছেন আলাইন। বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে শুধু মাত্র দু'টি হাত কাজে লাগিয়ে কার্যত অসাধ্য সাধন করে দেখিয়েছেন। বহুতলের মাথায় চড়তে তাঁর সময় লেগেছে মাত্র এক ঘণ্টা।
এই প্রথম নয়, প্যারিসের ‘ত্যুর টোটাল’ বহুতলে এর আগেও অনেক বার চড়েছেন ফ্রান্সের ‘স্পাইডারম্যান’। সংবাদমাধ্যমে আলাইন বলেছেন, ‘‘অনেক বছর আগে আমি নিজের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, যে দিন আমার ৬০ বছর বয়স হবে, আমি এই বহুতলে আবার উঠব। কারণ ৬০ বছর অবসরের বয়স নির্দেশ করে। তাই ভেবেছিলাম, এটাই ঠিক সময় হবে।’’
বহুতলে ওঠার পর উপর থেকে দু’হাত তুলে দাঁড়িয়েছিলেন আলাইন। নীচে সকলে তখন তাঁর কীর্তিকে হাততালি দিয়ে স্বাগত জানাচ্ছেন। সংবাদমাধ্যমের কাছে আলাইন এও জানিয়েছেন, তিনি বয়স নিয়ে সকলকে বার্তা দিতে চান। ৬০ বছর বয়স আসলে যে কিছুই নয়, তাই বোঝাতে চান আলাইন। তাঁর মতে, এই বয়সেও চাইলেই খেলাধুলো করে নিজেকে তরতাজা রাখা যায়।
১৯৭০ সালে এই পেশায় এসেছিলেন আলাইন। ‘ত্যুর টোটাল’-এ ওঠার সময় তাঁর পরনে ছিল কেবল একটি লাল জাম্পশ্যুট, পাহাড়ে ওঠার উপযোগী জুতো, এক বোতল জল এবং চকভর্তি একটি ব্যাগ। এই ব্যাগ ঘাম মোছার কাজে লাগে। যাতে ঘামের কারণে পা পিছলে না যায়, তাই এই ব্যবস্থা।
শুধু প্যারিস নয়, অন্যত্রও একাধিক বহুতলে উঠেছেন আলাইন। বিশ্বের উচ্চতম বহুতল বুর্জ খলিফাতেও একই ভাবে উঠেছেন তিনি।