হাসপাতালেই কর্মীদের ভুলে জন্মের পরই অদলবদল হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। ছবি-প্রতীকী
ল্যাঙ্কাশায়ারের বাসিন্দা জিম মিচেল আর মার্গারেট মিচেল বিশ্বাস করেন, বিধিলিপির জোরেই একে অন্যকে খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা। যাঁরা তাঁদের গল্প শুনেছেন, তাঁরা খুব একটা অস্বীকারও করতে পারবেন না এই দাবি। কারণ তাঁদের জন্ম একই হাসপাতালে। শুধু তা-ই নয়, হাসপাতালেই কর্মীদের ভুলে জন্মের পরই অদলবদল হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। পরে সেই ভুল শুধরে আসল মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর একে অন্যকে জীবনসঙ্গী হিসাবে বেছে নেন তাঁরা। চলতি সপ্তাহে তাঁদের দাম্পত্যের ৫০ বছর পূর্ণ হল।
নাতি-নাতনি ও পুত্রদের সঙ্গে ৫০তম বিবাহবার্ষিকী পালন করলেন দম্পতি। ছবি- সংগৃহীত
লেনক্সটাউনের একটি হাসপাতালে ১৯৫২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জন্ম হয় তাঁদের। দু’জনের মায়ের নামই ছিল মার্গারেট। জন্মের পর সেটাই গুলিয়ে ফেলেছিলেন নার্সরা। ভুল করে অন্যের অদলবদল করে ফেলেন তাঁরা। ভুল বুঝতে পেরে দুই খুদেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় নিজের নিজের মায়ের কাছে। দু’জনের মায়ের আলাপও হয় সেখানে। জানা যায়, গ্লাসগোর দক্ষিণে মাত্র আধ ঘণ্টা দূরে বসবাস তাঁদের।
দম্পতি জানিয়েছেন ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত আর কথাবার্তা হয়নি তাঁদের মধ্যে। কিন্তু ঠিক ১৮ বছরের মাথায় এক বন্ধুর বিয়েতে ফের দেখা হয় তাঁদের। প্রথম দেখাতেই মনে ধরে একে অন্যকে। মাস দুয়েকের আলাপচারিতার পর নিজেদের পরিবারের আলাপ করিয়ে দেওয়ার কথা ভাবেন দু’জনে। দুই পরিবার ফের একসঙ্গে আসতেই চমকে ওঠেন দু’জনের মা। উঠে আসে হাসপাতালের ঘটনাও। ১৯৭২ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা। দুই পুত্রসন্তান রয়েছে তাঁদের। নাতি-নাতনি ও পুত্রদের সঙ্গে ৫০তম বিবাহবার্ষিকী পালন করলেন তাঁরা।