নার্সের লালসা থেকে বাদ যায়নি শিশুরাও। প্রতীকী চিত্র।
অজ্ঞান অবস্থায় থাকা চার মহিলা রোগীর ছবি তোলা এবং যৌন হেনস্থার অভিযোগে জেল হল ৫১ বছরের এক পুরুষ নার্সের। শুধু তা-ই নয়, শৌচাগারে সহকর্মী মহিলা নার্সদের ছবি তোলা, এমনকি, শিশুদের যৌন নিগ্রহের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে ওই নার্স।
ঘটনাস্থল ব্রিটেনের শেফিল্ড রয়্যাল হ্যামশায়ার হাসপাতাল। এখানকার নার্স ছিল ৫১ বছর বয়সী পল গ্রেসন। তার বিরুদ্ধে মোট ২৩টি অপরাধের অভিযোগে মামলা হয়েছিল আদালতে। যার মধ্যে রয়েছে চার জন রোগীর ‘অপ্রীতিকর’ অবস্থায় ছবি তোলা, অচেতন অবস্থায় থাকার সময় তাঁদের যৌন হেনস্থার অভিযোগ। আরও অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের সঙ্গেও অশ্লীল আচরণ করত ওই পুরুষ নার্স। তাদেরও নগ্ন ছবি নিজের মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় বন্দি করে রাখত সে। তার যৌন লালসা থেকে ছাড়া পাননি সহকর্মীরাও। গোপনে মহিলা নার্সদের ছবি তুলত পল। তার বিরুদ্ধে উঠেছিল নির্যাতনের অভিযোগও।
তদন্তে জানা যায়, বহুদিন ধরেই এমন জঘন্য কাজ করে আসত সে। কিন্তু বছর খানেক আগে এক পরিচিতার মাধ্যমেই প্রকাশ্যে আসে পলের কাজকর্ম। ওই মহিলার অভিযোগ, তাঁর অজান্তে তাঁর প্রচুর ছবি তুলেছে পল নামে ওই পুরুষ নার্স। অশ্লীল সব ছবিতে তার ফোনের হার্ড ডিস্ক এবং মেমরি কার্ড ভরা। সেই মহিলাই প্রথম মামলা করেন আদালতে। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তে নেমে পলের কাজকর্ম দেখে কার্যত চমকে ওঠে পুলিশ। এর মধ্যে আরও এক মহিলা পলের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন। এর পর একে একে যৌন হেনস্থা, অশ্লীলতা সহ-মোট ২৩টি অপরাধের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয় পল। তার জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে শেফিল্ড ক্রাউন কোর্ট। এই কারাবাসের মেয়াদ ঘোষণা হবে শীঘ্রই।
পুলিশ জানায়, ১৯৯৪ সালে নার্সের চাকরি পায় পল। অস্ত্রোপচারের আগে এবং পরে রোগীদের দেখভালের দায়িত্ব থাকত তার উপর। তখনই এই সব দুষ্কর্ম করত সে। মামলার শুনানিতে বিচারকের পর্যবেক্ষণ, পল যা করেছে তা অত্যন্ত অন্যায় এবং গর্হিত অপরাধ। এমন একটি পেশায় থেকে এমন কাজ করা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা যায় না।