Maldives Controversy

ভারত ‘বৈরিতা’র জের? মলদ্বীপের গুরুত্বপূর্ণ ভোটে হেরে গেল মুইজ্জুর দল, জয়ী ভারতপন্থী নেতা

মলদ্বীপের রাজধানী মালের মেয়র নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর পিপল্‌স ন্যাশানাল কংগ্রেস হেরে গিয়েছে। বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন ভারতঘেঁষা বিরোধী দলের নেতা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:৩২
Share:

মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। —ফাইল চিত্র।

ভারতের সঙ্গে দ্বন্দ্বের আবহে মলদ্বীপের গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় নির্বাচনে পরাজিত হল প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর পিপল্‌স ন্যাশানাল কংগ্রেস (পিএনসি)। শনিবার রাজধানী মালের স্থানীয় নির্বাচনে তাঁর দলের প্রার্থীকে হারিয়ে দিয়েছেন ভারতঘেঁষা বিরোধী দলের নেতা। মালের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডাম আজ়িম। তিনি মলদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টির (এমডিপি) নেতা। ওই দলের প্রধান মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলি। তাঁকে পরাজিত করেই সম্প্রতি প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসেছেন মুইজ্জু।

Advertisement

এমডিপি নেতা অ্যাডাম যে পদে নির্বাচিত হলেন, সেই পদে দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় ছিলেন মুইজ্জু স্বয়ং। গত বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগে ওই পদ থেকে তিনি ইস্তফা দেন। সেই পদে মেয়র হিসাবে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন অ্যাডাম।

অ্যাডামের বিপরীতে মেয়র ভোটে পিএনসির তরফে প্রার্থী হয়েছিলেন আইশাঠ আজ়িমা। তাঁর চেয়ে অ্যাডাম পাঁচ হাজার ভোট বেশি পেয়েছেন।

Advertisement

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্প্রতি লক্ষদ্বীপ সফরে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। মলদ্বীপের তিন মন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে সমাজমাধ্যমে অবমাননাকর মন্তব্য করেন। যা ভারতীয়দের মধ্যে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। ‘বয়কট মলদ্বীপ’ ডাক দিয়েছেন অনেকে। মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু চিন সফরে গিয়েছিলেন। শনিবারই ফিরেছেন দেশে। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে মুইজ্জু বলেন, “হতে পারি আমরা ক্ষুদ্র। কিন্তু তাই বলে কাউকে চমকানোর ছাড়পত্র দিয়ে দিইনি আমরা।” এর পরেই নতুন মাত্রা পেয়েছে ভারত-মলদ্বীপ বিতর্ক।

মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সোলি ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন। কিন্তু মুইজ্জু সে পথে হাঁটছেন না। ক্ষমতায় আসার আগেও তিনি দেশে ভারত-বিরোধী প্রচার চালিয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট হিসাবে তিনি প্রথমেই ভারতের সেনাকে মলদ্বীপ থেকে সরে যেতে বলেছেন। চিনপন্থী হিসাবেই পরিচিত তিনি। দুই দেশের সম্পর্কে এর প্রভাব পড়তে চলেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement