পার্লামেন্টের ভিতর হাতাহাতি মলদ্বীপের শাসক এবং বিরোধী দলের সাংসদদের। ছবি: সংগৃহীত।
ফের সংবাদ শিরোনামে মলদ্বীপ। তবে ‘ভারত-বিরোধী’ কোনও মন্তব্যের কারণে নয়। সে দেশে শাসক এবং বিরোধী দলগুলির মধ্যে তালমিলের অভাব প্রকাশ্যে এসেছিল আগেই। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষার ক্ষেত্রে বর্তমান প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রকাশ্যেই অনাস্থা জানিয়েছিল বিরোধী দলগুলি। তবে এ বার পার্লামেন্টের ভিতরেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন দেশের শাসক এবং বিরোধী দলের সাংসদেরা। চলল কিল-ঘুসিও।
রবিবার হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দেশের বর্তমান শাসক জোটের দুই দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি), প্রোগ্রেসিভ পার্টি অফ মলদ্বীপ (পিপিএম) এবং বিরোধী দল মলদ্বীপ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এমডিপি)-র সদস্যেরা। প্রসঙ্গত, মলদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু পিএনসি-র সদস্য আর প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ সোলি (যাঁকে হারিয়ে মুইজ্জু ক্ষমতায় এসেছেন) এমডিপি-র সদস্য।
মুইজ্জুর মন্ত্রিসভায় সদস্য নিয়োগের জন্য পার্লামেন্টের অনুমোদন আদায় করতে বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছিল। কিন্তু মন্ত্রিসভার চার সদস্যকে নিয়োগ করার ব্যাপারে আপত্তি জানায় সোলির দল। অভিযোগ, মুইজ্জুর দলের সদস্যেরা সোলির দলের সাংসদদের পার্লামেন্টে ঢুকতে বাধা দেন। প্রসঙ্গত, মুইজ্জু প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতলেও মলদ্বীপের পার্লামেন্টে এখনও সংখ্যাগরিষ্ঠ দল সোলির এমডিপি।
মলদ্বীপের স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যম ‘আধাদু’ পার্লামেন্টের ভিতর সাংসদদের হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এনেছে। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে, এক সাংসদকে মাটিতে শুইয়ে মারধর করছেন অন্য সাংসদেরা। পরে মলদ্বীপের শাসক জোটের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, মন্ত্রিসভায় চার জনের নিয়োগের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় অনুমতি দিতে চাইছে না বিরোধী দল এমডিপি। এর ফলে মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার কাজে বাধা তৈরি হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে।