(বাঁ দিকে) ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী মুসা জ়ামির (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী মুসা জ়ামির ভারত সফরে আসছেন। বৃহস্পতিবার আসার কথা রয়েছে তাঁর। গত ছ’মাসে মলদ্বীপ সরকারের কোনও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধি ভারতে আসেননি। বরং এই সময়ের মধ্যে ভারতের সঙ্গে এই প্রতিবেশী দ্বীপরাষ্ট্রের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। বিদেশমন্ত্রীর ভারত সফরের সিদ্ধান্তে অনেকে মনে করছেন, ভারতের সঙ্গে ‘বন্ধুত্ব’ পুনরুদ্ধারে এ বার কিছুটা হলেও জোর দিতে চাইছে মলদ্বীপ।
মঙ্গলবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে মলদ্বীপের মন্ত্রীর সফরের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ভারতে এসে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দেখা করবেন মুসা। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলবেন। সেই আলোচনায় দু’দেশের পারস্পরিক স্বার্থের দিকটাও খেয়াল রাখা হবে।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী, ‘‘ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মলদ্বীপ ভারতের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী। সেখানকার বিদেশমন্ত্রী মুসার ভারত সফর দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে আরও মসৃণ করবে বলেই আমাদের আশা। মন্ত্রী মুসার এটাই প্রথম ভারত সফর।’’
উল্লেখ্য, গত নভেম্বর মাসে মলদ্বীপের ক্ষমতায় এসেছেন মহম্মদ মুইজ্জু। তিনি চিনপন্থী হিসাবেই পরিচিত। ক্ষমতায় আসার পর চিন সফর সেরে এসেছেন তিনি। তবে এখনও ভারতে তিনি বা তাঁর সরকারের কোনও প্রতিনিধি আসেননি। এর মাঝেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লক্ষদ্বীপ সফরকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল। মোদীকে অবমাননার অভিযোগ উঠেছিল মুইজ্জুর তিন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। যার ফলে ভারত থেকে দলে দলে পর্যটক মলদ্বীপ সফর বয়কট করেন। সমাজমাধ্যমেও ‘বয়কট মলদ্বীপ’ হয়ে ওঠে নতুন ট্রেন্ড। বিতর্কের মাঝে মলদ্বীপ থেকে ভারতকে সমস্ত সেনা সরিয়ে নিতে বলেন মুইজ্জু। তার জন্য বেঁধে দেন সময়ও। ১০ মে-র মধ্যে তিনি ভারতকে মলদ্বীপ থেকে সেনা সরাতে বলেছিলেন। শুক্রবার সেই সময়সীমা শেষ হচ্ছে। ভারতও ইতিমধ্যে মলদ্বীপে থাকা প্রায় সব সেনাকেই সরিয়ে এনেছে। পরিবর্তে চুক্তি অনুযায়ী সেখানে ভারতীয় প্রযুক্তিবিদদের পাঠানো হয়েছে।