Dilip Ghosh

‘ভাবছি কার মাথায় ভাঙব’! প্রচারে বেরিয়ে বেল কিনে মশকরা দিলীপের, তৃণমূল বলল, ‘মতিভ্রম হয়েছে’

সাতসকালে বেশ খোশমেজাজেই ছিলেন। সকাল হঠাৎ ফল কিনতে গেলেন কেন? দিলীপ ঘোষের জবাব, ‘‘বেল আর তরমুজ কিনলাম। গরমের ফল। শরীর ভাল থাকে।’’ বেল হাতে মুচকি হেসে তিনি বলেন, ‘‘ভাবছি কার মাথায় ভাঙব।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০২৪ ১৩:৩১
Share:

বাজার থেকে বেল বাছছেন দিলীপ ঘোষ। —নিজস্ব চিত্র।

সকাল সকাল ভোটের প্রচারে বেরিয়ে বাজার করলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভার কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। বেল আর তরমুজ কিনলেন বর্ধমান শহরের কার্জনগেটের কাছে বিসি রোডের ফুটপাত থেকে একটি তরমুজ আর একটি বেল কেনেন দিলীপ। সাতসকালে বেশ খোশমেজাজেই ছিলেন তিনি। সকাল সকাল হঠাৎ ফল কিনতে গেলেন কেন? দিলীপের জবাব, ‘‘বেল আর তরমুজ কিনলাম। গরমের ফল। শরীর ভাল থাকে।’’ তার পর বেল হাতে মুচকি হেসে তিনি বলেন, ‘‘ভাবছি কার মাথায় ভাঙব।’’ বিজেপি প্রার্থীর ওই মন্তব্যের সমালোচনা করেছে তৃণমূল। শাসকদলের কটাক্ষ, ‘‘দিলীপ বুঝতে পেরেছেন উনি হারবেন। হার নিশ্চিত বুঝতে পেরে ওঁর মতিভ্রম হয়েছে। তাই নানা কুকথা বলছেন।’’

Advertisement

বুধবার বিজেপির চা-চক্রের আসরে দিলীপ নানা ইস্যুতে রাজ্যের শাসকদলকে তুলধোনা করেন। সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি মামলার অন্তর্বর্তিকালীন নির্দেশ নিয়ে বিজেপি প্রার্থী বলেন, ‘‘ এসএসসি বলেছিল ‘আমরা বাছবিচার করতে পারব না। সেই রেকর্ডই নাই।’ প্রধানমন্ত্রী যেই বললেন, ‘যাঁরা ন্যায্য ভাবে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের পাশে দাঁড়াব, প্রয়োজনে আদালতে যাব’, ঠিক তার দু’ঘণ্টার মধ্যেই এসএসসি বলল, ‘আমরা ঠিক রেকর্ড জমা দেব।’’’ দিলীপ আরও বলেন, ‘‘এটাও ঠিক নয় যে, তারিখের পর তারিখ পড়বে। সুপ্রিম কোর্ট নিশ্চয়ই দ্রুত বিচার করবে।’’ পাশাপাশি, ব্যারাকপুরের জগদ্দলে প্রধানমন্ত্রীর সভার আগে ট্র্যাক্টর দিয়ে মাঠ নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে দিলীপের কটাক্ষ, ‘‘এ সব করে কিছু লাভ হয় না। এর আগে বীরভূমের কেষ্ট (অনুব্রত) মণ্ডল আমাদের সভা করার জন্য নির্ধারিত মাঠে জল ভরে দিয়েছিল। তাতে কিছু যায়-আসে না। সাধারণ মানুষ সব দেখছেন। সাধারণ মানুষই ঠিক সময়ে এর উত্তর দেবেন।’’

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগকে তৃণমূলের সাজানো স্ক্রিপ্ট বলে দাবি করেছিলেন দিলীপ। বুধবার ওই প্রসঙ্গে তিনি আবার বলেন, ‘‘ওদের লড়াইটা এখন কমিশনের বিরুদ্ধে। বিজেপির বিরুদ্ধে নয়। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ, ওরা বুঝে নিয়েছে যে, বিজেপি ৩৭০ এবং এনডিএ জোট ৪০০ আসন পাবে। তাই এ বার ইভিএমের বিরুদ্ধে লড়াই হবে। লড়াইটা পাল্টে গিয়েছে। এখন লড়াইয়ের ময়দানে নাই। অফিসে লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে। হার নিশ্চিত জেনেই ওদের মনোবল ভেঙে গিয়েছে।’’ দিলীপের মন্তব্য প্রসঙ্গে রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘‘বিজেপি হল মারদাঙ্গা করার পার্টি। দিলীপ ঘোষ হলেন সেই দলের নেতা। তাই উনিও মারপিটের কথাই বলছেন। ভোটে হারার ভয়ে আস্ফালন দেখাচ্ছেন আর কী!’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement