প্রতীকী ছবি।
রংপুরের পীরগঞ্জে অশান্তির ঘটনায় ধৃত প্রধান অভিযুক্ত সৈকত মণ্ডল তার অপকর্মের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ আরও বেশ কিছু লোককে গ্রেফতার করেছে। তার ফলে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার সন্দেহভাজনের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৮। তার মধ্যে অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত জামাতে ইসলামির এক ছাত্রকর্মী এবং এক ইমাম রয়েছেন। এই হামলায় স্থানীয় মাঝিপাড়ায় ২১টি বাড়ি এবং সংলগ্ন দোকানপাট পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় একটি কলেজে শাসক দলের ছাত্র শাখার নেতা ছিলেন মূল অভিযুক্ত সৈকত। গ্রেফতারের পরে সংগঠন তাকে বহিষ্কার করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ নির্দেশে জেলা প্রশাসন পীরগঞ্জে ভেঙে দেওয়া বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। ঘরহারাদের মাথা গোঁজার জন্য অস্থায়ী শিবিরের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। সেখানে রেশন ও খাবার দেওয়া হচ্ছে। নোয়াখালি, চাঁদপুর ও ফেনিতেও অশান্তির শিকার পরিবারগুলির জন্য পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সমস্ত জায়গাতেই এই কাজ সমন্বয়ের জন্য কয়েক জন মন্ত্রীকে দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদেরও নজরদারি করতে বলা হয়েছে। রংপুরে এই কাজের দায়িত্ব পেয়েছেন তথ্যমন্ত্রী তথা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ ও সংসদের স্পিকার শিরিন শরমিন চৌধুরী।
কুমিল্লায় অশান্তির ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হিংসার পরিকল্পনার বেশ কিছু সূত্র মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে এখনই সবিস্তার কিছু তারা বলতে চায় না। সিসিটিভি-র ফুটেজ দেখে ইকবালকে চিহ্নিত করার পরে কক্সবাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হেফাজতে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
নোয়াখালিতেও তদন্তের পরে হামলা ও হিংসার ২৬টি মামলা দায়ের করে ১০২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে বিরোধী দল বিএনপি ও তাদের নির্বাচনী সঙ্গী জামাতে ইসলামির ১১ জন প্রভাবশালী নেতা রয়েছেন। নোয়াখালির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম জানান, ফেসবুকে গুজব ও উস্কানিমূলক প্রচার থেকে শুরু করে হামলা, লুটপাট, খুন-সহ সব ক’টি অপরাধে এঁরা সংশ্লিষ্ট বলে প্রমাণ মিলেছে। ঢাকায় বিএনপি-র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির দাবি করেছেন, মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে তাঁদের নেতা-কর্মীদের ধরছে পুলিশ।