উত্তাল বাংলাদেশ। ছবি: সংগৃহীত।
বাংলাদেশের চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সেলিম খান ও তাঁর ছেলে অভিনেতা শান্ত খানকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার এলাকা ছেড়ে নাকি পালিয়ে যাওয়ার সময় বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ বাজারে এসে জনরোষের মুখে পড়েন তাঁরা। সেখান থেকে কোনও রকমে রক্ষা পেলেও বাগাড়া বাজারে এসে উত্তেজিত জনতার মুখোমুখি হন দু’জনে। সেখানেই গণপিটুনিতে নিহত হন সেলিম খান ও তাঁর ছেলে শান্ত খান।
চুয়াডাঙ্গা শহরের সিনেমা হল পাড়ায় আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্র লীগের আহ্বায়কের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। এই অগ্নিকাণ্ডে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকেলে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিন চাকলাদারের মালিকানাধীন পাঁচ তারা হোটেলে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। ওই সময় হোটেলের ভিতরে অনেকে আটকে পড়েন। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রথম আলো জানিয়েছে, নোয়াখালির সোনাইমুড়ি এবং চাটখিল থানায় আগুন লাগিয়ে দেন বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা। সোমবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটেছে। চাটখিল থানায় বিক্ষোভকারীরা ইটবৃষ্টি করেন। পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে তিন জনের মৃত্যু হয়। এর পরেই উত্তেজিত জনতা থানায় আগুন ধরিয়ে দেন। নোয়াখালি জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, চাটখিলে কোনও পুলিশ আহত হননি। তিনি আরও জানান, সোনাইমুড়িতে এক পুলিশ আধিকারিক এবং এক জন কনস্টেবলের মৃত্যু হয়েছে। অপর এক আধিকারিক গুরুতর আহত হয়েছেন।
বরিশালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রাক্তন মেয় সাদিক আবদুল্লাহের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন বিক্ষুব্ধ জনতা। আগুন নেভানোর পর ওই বাড়ি থেকে তিন জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।