সস্ত্রীক ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টর্স।
মেইন প্রদেশে জয়লাভ করেছেন কমলা হ্যারিস। আলাস্কা নিজের দখলে রেখেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এখনও গণনা চলছে নেভাদা এবং অ্যারিজ়োনায়।
মিশিগান প্রদেশেও লাল ঝড়। ২০২০ সালে এই প্রদেশ ছিল ডেমোক্র্যাটদের দখলে। তবে এ বার সেখানে পাল্টে গেল সমীকরণ। ডেমোক্র্যাটদের থেকে এই প্রদেশ ছিনিয়ে নিল রিপাবলিকানেরা। বাকি চার প্রদেশ- আলাস্কা, নেভাদা, মেইন এবং অ্যারিজ়োনাতে এখনও গণনা চলছে। তবে এই চার প্রদেশেও এগিয়ে ট্রাম্প।
আমেরিকার পাঁচটি প্রদেশে গণনা এখনও চলছে। মিশিগান, আলাস্কা, নেভাদা, অ্যারিজ়োনা এবং মেইন প্রদেশে চলছে গণনা। পাঁচটিতেই এগিয়ে রয়েছে ট্রাম্প। রিপাবলিকান শিবিরের আশা, এই পাঁচটিতেও জয়ী হবেন ট্রাম্প।
আবার আমেরিকার মসনদে ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাঁচ প্রদেশের ভোটগণনা বাকি থাকতেই জাদুসংখ্যা পেরিয়ে গেলেন তিনি। উইসকনসিন প্রদেশের ফলপ্রকাশের পরই ট্রাম্পের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়।
ভোটপ্রচারে আমেরিকায় অনুপ্রবেশ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় বারের জন্য হোয়াইট হাউসে ঢোকার আগে বুধবার বিজয়-ভাষণের মঞ্চ থেকেও ট্রাম্প বলেন, “আমরা সীমান্ত বন্ধ করব। অনুপ্রবেশ বন্ধ করা হবে।”
‘বিজয়ী ভাষণে’ ট্রাম্প বলেন, “সমালোচকদের ভুল প্রমাণিত করে আমরা জয়ী হতে চলেছি। আমেরিকা অভূতপূর্ব এবং শক্তিশালী রায় দিয়েছে।” তার পরেই ফের ‘আমেরিকাকে আবার শ্রেষ্ঠ করব’ স্লোগানটি দেন ট্রাম্প।
জয়ের পথ প্রশস্ত হতেই ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সমাজমাধ্যমে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর কিছু পুরনো ছবি পোস্ট করে মোদী লেখেন, ‘‘চলুন একসঙ্গে কাজ করি!’’ ভারত এবং আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার আহ্বান জানালেন তিনি। সেই সঙ্গে বিশ্ব শান্তি, স্থিতি বজায়ে মিলিত ভাবে কাজ করার কথাও বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
ট্রাম্প এবং কমলা— নির্বাচনে দু’জনেরই ‘পাখির চোখ’ ছিল পেনসিলভেনিয়া। বার বার সেখানে প্রচারে ছুটে গিয়েছেন তাঁরা। ‘সুইং স্টেট’ নামে পরিচিত সেই পেনসিলভেনিয়াতেও জয় হাসিল করলেন ট্রাম্প।
জাদুসংখ্যা স্পর্শ সময়ের অপেক্ষা ট্রাম্পের। জয়ের সম্ভাবনা স্পষ্ট হতেই ফ্লোরিডাতে তাঁর জন্য মঞ্চ সাজল। সেখানেই তাঁর দলের সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন ট্রাম্প।
নির্বাচনের ফলাফল সংক্রান্ত প্রাথমিক প্রবণতা প্রকাশ্যে আসার পরই বুধবার রাতের ভাষণ বাতিল করলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা। তাঁর নির্বাচনী পরামর্শক জানিয়েছেন, বুধবার রাতে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ভাষণ শোনা যাবে না। তবে বৃহস্পতিবার তিনি ভাষণ দেবেন।
দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রকাশিত ফল অনুযায়ী, এখনও আটটি প্রদেশে ভোটগণনা চলছে। নেভাডা, অ্যারিজ়োনা, আলাস্কা, মিনেসোটা, উইসকনসিন, মিশিগান, মেইনতে এখনও চূড়ান্ত ফলপ্রকাশ হয়নি।
এখনও পর্যন্ত ওয়াশিংটন, ওরেগন, ক্যালিফর্নিয়া, কোলোরেডো, নিউ মেক্সিকো হাওয়াই, ইলিনয়, নিউ ইয়র্ক, নিউ হ্যাম্পশায়ার, ভেরমন্ট, কানেকটিকাট, নিউ জার্সি, মেরিল্যান্ড, ম্যাসাচুসেটস, ভার্জিনিয়াতে জয় পেয়েছে কমলা হ্যারিস।
৫০ প্রদেশের মধ্যে বেশির ভাগই ট্রাম্পের রিপাবলিকানদের দখলে। বেলা ১২টা পর্যন্ত ফলাফল অনুযায়ী কোন কোন প্রদেশে এগিয়ে তাঁরা? জানা গিয়েছে, মোন্টানা, ইডাহো, উটাহ, উওমিং, নর্থ এবং সাউথ ডাকাটো, নেব্রাস্কা, কানসাস, ওকলাহোমা, টেক্সাস, মিসৌরি, আইওয়া, আরকানসাস, লুইজ়িয়ানা, মিসিসিপি, টেনেসি, কেনটাকি, ইন্ডিয়ানা, ওহিয়ো, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা, সাউথ ক্যারোলাইনা, আলাবামা, জর্জিয়া।
মঙ্গলবার বিকেল থেকেই (ভারতীয় সময়) আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত তথা অন্তিম পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী, ট্রাম্প এবং কমলার মধ্যে কে জয়ী হবেন, তা ভোটারদের সরাসরি ভোটে নির্ধারিত হবে না। কেন্দ্রীয় পর্যায়ে (ফেডারেল) নির্বাচনী লড়াইয়ের বদলে জয়ী-পরাজিত নির্ধারিত হবে এক একটি প্রদেশের নির্বাচনী লড়াইয়ের মাধ্যমে। আমেরিকার ৫০টি প্রদেশের একটিতে জয়ী হওয়ার অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রার্থী সেই প্রদেশের সব ক’টি ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ ভোট পেয়ে যাবেন। ইলেক্টোরাল কলেজের মোট ভোটের সংখ্যা ৫৩৮। জাদুসংখ্যা ২৭০। সেই জাদুসংখ্যার দিকে ক্রমশ এগোচ্ছেন ট্রাম্প।