গ্রেফতার হওয়ার আগে ইমরানের শেষ বার্তা। ছবি: টুইটার।
গ্রেফতারির কথা আগেই আঁচ করেছিলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। মঙ্গলবার দুপুরে ইসলামাবাদ হাই কোর্ট চত্বরে পাক আধাসেনা রেঞ্জার্স বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার কিছু ক্ষণ আগে ভিডিয়ো বার্তায় তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই)-এর কর্মী–সমর্থকদের উদ্দেশে ইমরান খান বলেন, ‘‘যত ক্ষণে আমার কথা আপনাদের কাছে পৌঁছবে, তত ক্ষণে একটি অবৈধ মামলায় আমাকে গ্রেফতার করা হবে।’’
সেই সঙ্গে প্রাক্তন পাক ক্রিকেট অধিনায়ক বলেন, ‘‘পাকিস্তানে আমাদের মৌলিক ও আইনি অধিকারের সমাধি হয়ে গিয়েছে। এর পর হয়তো আপনাদের সঙ্গে আমার কথা বলার সুযোগ হবে না। তাই দু-তিনটি কথা বলতে চাই। আপনারা মন দিয়ে শুনুন।’’ ইমরানের গ্রেফতারির পরে পাকিস্তানি সাংবাদিক এহতেশাম উল হক তাঁর টুইটার থেকে ওই ভিডিয়ো বার্তা প্রকাশ করেন। তাতে দেখা গিয়েছে, একটি গাড়ির ভিতরে বসে পিটিআই কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশে ওই আবেদন জানাচ্ছেন।
আল কাদির ট্রাস্টের জমি হস্তগত করার অভিযোগ সম্প্রতি ইমরানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলার জামিন নিতেই মঙ্গলবার সকালে ইসলামাবাদ হাই কোর্টে গিয়েছিলেন তিনি। আদালত চত্বরে ঢোকার আগেই তাঁকে গ্রেফতার করে আধাসামরিক রেঞ্জার্স বাহিনী। গ্রেফতারির কয়েক ঘণ্টা পরে ইমরানকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় পাক রেঞ্জার্স।
ঘটনাচক্রে, গত সপ্তাহেই ইমরান প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছিলেন পাক সেনার মেজর জেনারেল ফয়জল নাসের গত নভেম্বরে পাক পঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদে তাঁর উপর হামলার ঘটনার মূল ষড়যন্ত্রী। তার পরেই ওই গ্রেফতারি। এই পরিস্থিতিতে পিটিআই কর্মী-সমর্থকদের রোষ পড়েছে পাক সেনার উপর। রওয়ালপিন্ডির সেনা সদরের পাশাপাশি লাহোর, পেশোয়ার, করাচির সেনা শিবিরে হামলার খবর মিলেছে। উত্তেজিত জনতাকে সামলাতে সেনার গুলি চালানোর ঘটনাও ঘটেছে। পুরো পরিস্থিতিতে কার্যত গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পাক সরকারের ভূমিকা। এই পরিস্থিতিতে পাক সেনা দেশের নিয়ন্ত্রণ হাতে নিতে পারে বলে আশঙ্কা গণতন্ত্রপ্রেমী পাক জনতার একাংশের।