লিসা নন্দী
লক্ষ্য ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বরিস জনসনকে হটানো। তাই তাঁর কঠিন ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ হয়ে ওঠার লড়াইয়ে নেমে পড়লেন বাঙালি মেয়ে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি লিসা নন্দী। এই মুহূর্তে নজর লেবার পার্টির নেত্রী পদ। তার জন্য প্রচার-পর্ব শুরু করে দিলেন লিসা।
গত বছর ডিসেম্বরে ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে ধরাশায়ী হয়েছে লেবার পার্টি। দলের সদস্যরাই স্বীকার করছেন, গত ৭০ বছরে এত ভয়াবহ হার দেখেনি দল। যা কোনও দিন হয়নি, দেশের উত্তরের সেই বড় অংশ, লেবারদের গড়ও বেহাত হয়ে যায়। জেরেমি করবিনের নেতৃত্বে লেবার পার্টি পায় ২০২টি আসন। সেখানে বরিস জনসনের কনজ়ারভেটিভ পার্টি ৩৬৫টি আসন দখল করে ক্ষমতা বজায় রাখে। দল বিপর্যয়ের মুখে পড়লেও মান রেখেছিলেন লিসা। ম্যাঞ্চেস্টারের উইগান আসনে এ বারও জিতেছেন বাঙালি মেয়ে লিসা। তাঁর মা ব্রিটিশ, বাবা বাঙালি। ২১,০৪২ ভোটে জেতেন লিসা। ২০১০ সাল থেকে আসনটি লিসার দখলে রয়েছে। তবে জেতার পরে বলেছিলেন, ‘‘এ বারের লড়াইটা কঠিন ছিল।’’
এ দিন লিসার শপথ, পথ হারানো দলকে ‘ঘরে ফেরাবেন’ তিনি। তবে তার আগে তাঁকে লড়তে হবে দলের অন্য তিন প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে। লেবার-নেতৃত্বের জন্য লিসা ছাড়াও লড়ছেন বার্মিংহামের এমপি জেস ফিলিপ, ‘শ্যাডো ফার্স্ট সেক্রেটারি অব স্টেট’ এমিলি থর্নবেরি এবং ‘শ্যাডো মিনিস্টার ফর সাসটেনাবল ইকোনমিক্স’ ক্লাইভ লুইস। এ লড়াইয়ে জিতলে লিসার পরবর্তী যুদ্ধ বরিস জনসনের সঙ্গে।
নিজের কেন্দ্র থেকে শুক্রবার ভোটে লড়ার কথা ঘোষণা করেন লিসা। তিনি বলেন, ‘‘ভবিষ্যতের লেবার সরকার ব্রিটেনের সমস্ত শহর, গ্রাম, এলাকায় প্রয়োজনীয় সব সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেবে। অতীতের স্বৈরশাসন ভুলে এগোনো উচিত আমাদের। নিজেদের চারপাশে যে বদল চায় মানুষ, সেই ইচ্ছাটুকু প্রকাশের অধিকার পাক সবাই।’’ আরও বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে হারাতে আমি বদ্ধপরিকর।’’