—ছবি রয়টার্স
সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে শেষ মুহূর্তের স্থগিতাদেশ উঠে যাওয়ায় শেষ রক্ষা হল না লিসার। গত সাত দশকে আমেরিকায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত একমাত্র মহিলাবন্দি লিসা মন্টগোমারির সাজা কার্যকর হল। বুধবার ভোর রাতে ইন্ডিয়ানার এক কারাগারে ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করে তার সাজা কার্যকর করা হয়েছে।
২০০৪ সালে মিসৌরিতে এক অন্তঃসত্ত্বাকে শ্বাসরোধ করে, তাঁর পেট চিরে গর্ভস্থ শিশু চুরির অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয় লিসা। অতিরিক্ত রক্তপাতের ফলে মৃত্যু হয় ববি জো স্টিনেট নামে ২৩ বছরের আক্রান্ত তরুণীর।
তদন্তে জানা যায়, সোশ্যাল সাইটে কুকুরপ্রেমী পরিচয় দিয়ে তরুণীর সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতায় ৫২ বছরের লিসা। ববির সম্পর্কে ধীরে ধীরে নানা তথ্য জোগাড় করছিল সে। এর পরে এক দিন গাড়ি চালিয়ে ববির বাড়ি পৌঁছে এই কাণ্ড ঘটায়। শিশুটিকে নিজের সন্তান হিসেবে পরিচয় দেয় প্রতিবেশীদের কাছে। তবে ধরা পড়ে যায় লিসা। পুলিশি জেরায় খুনের কথা স্বীকারও করে। ২০০৭ সালে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত।
লিসার আইনজীবী পাল্টা দাবি করেন, ওই মহিলা মানসিক ভাবে অসুস্থ। তাকে মৃত্যুদণ্ড থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক। লিসার পরিবার সূত্রেও জানা যায়, শৈশবে নিজের বাবার কাছেই যৌন হেনস্থার শিকার সে। মা তাকে পাচার করে দিয়েছিল। ২০০৪ সালে ওই ঘটনার সময়ে লিসা একটি কাল্পনিক জগতে বাস করত। বাস্তবের সঙ্গে তার কোনও যোগ ছিল না। তবে ববির পরিবার এই অপরাধের জন্য লিসাকে ক্ষমা করেনি। তারা আদালতে লিসার মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানায়। ২০০৮ সাল থেকে টেক্সাসের একটি বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মহিলা বন্দিদের জেলে ছিল লিসা। যেখানে তার চিকিৎসাও চলেছে।
বুধবার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার খবরেও অবশ্য নির্বিকার ছিল লিসা। আদালত তার শেষ ইচ্ছা জানতে চাইলে উত্তর ছিল সংক্ষিপ্ত। মাস্ক সরিয়ে বলেছিল, ‘‘না, কোনও ইচ্ছা নেই...।’’