বিজয় মাল্য। ফাইল চিত্র।
সুপ্রিম কোর্টে আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্র। শুক্রবার স্পষ্ট ভাবে সে কথা জানিয়ে দিলেন ভারতের ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালেক্স এলিস।
আইনি প্রক্রিয়া’ সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ব্যাঙ্ক প্রতারণায় অভিযুক্ত মাল্যকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে এলিস বলেছেন, ‘‘দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের বিষয়ে অযথা কোনও ‘শর্টকার্ট’ পদ্ধতি অনুসরণ করা সম্ভব নয়।’’ যদিও সরাসরি মাল্য বা অন্য কোনও অভিযুক্তের নাম নেননি তিনি। অ্যালেক্স শুক্রবার জানিয়েছেন, প্রত্যর্পণ বিষয়টি একটি বিচারবিভাগীয় এবং প্রশাসনিক প্রক্রিয়া। ফলে তা সময়সাপেক্ষ হতে পারে।
ব্রিটেনের নিম্ন আদালত মাল্যকে ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশ দেওয়ার পর সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে লন্ডনে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কিংফিশার কর্ণধার মাল্য। কিন্তু হাইকোর্টও তাঁর আর্জি খারিজ করে দেয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে সে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন মাল্য। জানুয়ারিতে মাল্যর প্রত্যর্পণের দাবিতে দায়ের করা মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র জানিয়েছিল, ব্রিটেনে একটি ‘গোপন আইনি প্রক্রিয়া’ সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ব্যঙ্ক প্রতারণায় অভিযুক্ত মাল্যকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া সম্ভব নয় বলে লন্ডন বার্তা দিয়েছে।
৯ হাজার কোটি টাকার ঋণখেলাপির মামলায় অভিযুক্ত কিংফিশার কর্তা মাল্য ২০১৬ সালের মার্চ মাস থেকে ব্রিটেনে রয়েছেন। ফ্রান্সে তাঁর ১৬ লক্ষ ইউরো (প্রায় ১৪ কোটি টাকা)-র সম্পত্তি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সে দেশের সরকারকে দিয়ে বাজেয়াপ্ত করিয়েছে। গত বছর জুনে নয়াদিল্লির তরফে ব্রিটেনকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল মাল্যকে আশ্রয় না দেওয়ার জন্য।