লস্কর-ই-তইবার উপপ্রধান আব্দুল রেহমান মাক্কি। — ফাইল চিত্র।
রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষিদ্ধ জঙ্গির তালিকাভুক্ত হওয়ার পরে এই প্রথম প্রকাশ্যে মুখ খুলল লস্কর-ই-তইবার উপপ্রধান আব্দুল রেহমান মাক্কি।
ভারতের দীর্ঘ প্রচেষ্টার পরে মাক্কিকে সম্প্রতি নিষিদ্ধ জঙ্গির তালিকাভুক্ত করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ। লাহোরের কোট লাখপত জেলে বন্দি মাক্কির একটি ভিডিয়ো বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে মাক্কি রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে। সরব হয়েছে পাকিস্তান নিয়েও। মাক্কি বলেছে, ‘‘কাশ্মীর সমস্যা পাকিস্তানের জাতীয় বিষয় বলে মনে করি। কাশ্মীরিদের দুর্দশা ঘোচাতে রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রস্তাব অনুযায়ী এই সমস্যার সমাধানহওয়া উচিত।’’
এই সন্ত্রাসবাদী, লস্করের প্রধান হাফিজ সইদের ভগ্নিপতিও বটে। হাফিজ এবং মাক্কি আইএসআই-এর সহায়তায় ২৬/১১-র মুম্বই হামলার ষড়যন্ত্র করেছিল বলে ধারাবাহিক ভাবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে অভিযোগ জানিয়ে এসেছে ভারত। এ ছাড়া কাশ্মীর সীমান্তে গত কয়েক বছরে যে সমস্ত সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ হয়েছে, তার নেপথ্যে বার বার উঠে এসেছে মাক্কির নাম।
সেই প্রসঙ্গে মাক্কি বলেছে, ‘‘ভারত সরকারের দেওয়া ভুল তথ্যের ভিত্তিতে এবং সংখ্যালঘু হওয়ার কারণে আমাকে এই নিষিদ্ধ তালিকায় ফেলেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।... নিরাপত্তা পরিষদ আমাকে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। এ ভাবে আমার মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে।’’ মাক্কির দাবি, আল কায়দা বা আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে তার কোনও যোগাযোগ নেই। ওদের মতাদর্শ ও সন্ত্রাসকে সে সমর্থন করে না। ইসলামাবাদের ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত অবস্থায় আল কায়েদার নেতা ওসামা বিন লাদেন বা আইএস প্রধান আয়মান আল-জ়াওয়াহিরির সঙ্গে সাক্ষাতের কথা অস্বীকার করেছে মাক্কি। নিষিদ্ধ জঙ্গি নেতা বলেছে, ‘‘শিক্ষক হিসেবে আমার কর্মজীবনের পুরোটা সময় ওদের কর্মকাণ্ডের তীব্র বিরোধিতা করেছি।’’ তবে২৬/১১-এর হামলা নিয়ে একটা কথাও বলেনি মাক্কি। সংবাদ সংস্থা