গাড়ির মধ্যে গাড়ি! এ এমনই এক বিলাসবহুল গাড়ি যার ভিতরে অনায়াসে জায়গা করে নিতে পারে আরও এক গাড়ি।
এ গাড়ির অন্দরমহল কোনও পাঁচতারা হোটেলের থেকে কম নয়। কী নেই সেখানে! এর ভিতরে ঢুকলেই ধাঁধিয়ে যাবে চোখ।
বিশ্বের প্রথম ল্যান্ড সুপারইয়ট এটি। জার্মানির একটি গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা এই সুপারইয়টটি বানিয়েছে।
অনেকটা বাসের মতো দেখতে গাড়িটির ভিতরটি বিলাসিতায় মোড়া। যাত্রীস্বাচ্ছন্দ্যের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে তাতে। বিশাল একটি বিছানাও রয়েছে ভিতরে।
আধুনিক রান্নার উপকরণ, বাসনমাজার মেশিন, মাইক্রোওয়েভ এবং ৬০ গ্যালনের একটি রেফ্রিজারেটরও রয়েছে এর ভিতরে। বাড়িতে থাকাকালীন যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের প্রয়োজন হয়ে থাকে, এই গাড়িতে সে সবই রয়েছে।
যাত্রীর পাশাপাশি পরিবেশের সুরক্ষার কথাও মাথায় রেখেছে প্রস্তুতকারক সংস্থা। তাই সূর্যের আলোর সদ্ব্যবহার এবং দূষণরোধের দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।
গাড়ির ছাদে বসানো রয়েছে সৌর প্যানেল। এক হাজার লিটারের জলের ট্যাঙ্কও রয়েছে ছাদে।
পুরো গাড়ি জুড়ে বোস-এর মিউজিক সিস্টেমও রয়েছে। একঘেয়েমি কাটাতে গাড়ির মেঝেতে কাঠের নকশা করা হয়েছে। এতে গাড়ির ভিতরটি আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।
গাড়ির ভিতরটি এতটাই বড় যে সেখানে ফেরারির মতো স্পোর্টসকার খুব সহজেই ঢুকে যেতে পারবে। ওই মাপের একটি গ্যারাজও রয়েছে ইয়টে।
গাড়ির ‘ড্রয়িংরুম’-এ সোফা, টেবিল, ৫৫ ইঞ্চির টিভি রয়েছে। অন্দরমহলের দেওয়ালের রং এবং নকশাও চোখ ধাঁধানো।
ভিতর থেকে বাইরে দেখার জন্য বাসের মতোই এই গাড়ির দেওয়াল জুড়ে কাচের জানলা রয়েছে। কালো কাচের জানলা দিয়ে বাইরেটা দেখা গেলেও বাইরে থেকে ভিতরে দেখা যায় না।
সম্প্রতি এই সুপারইয়ট বাজারে এসেছে। প্রাথমিক ভাবে এর দাম ধার্য হয়েছে ২০ লক্ষ ডলার। ভারতীয মুদ্রায় যা প্রায় ১৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।