এভাবেই ঝাঁকে ঝাঁকে মৃত মাছ ছড়িয়ে নদীর তীরে
খরায় শুকিয়ে এসেছে নদী। আর সেই নদী অববাহিকায় পড়ে আছে হাজারে হাজারে মৃত মাছ। সম্প্রতি এ রকমই একটি ঘটনা চমকে দিয়েছে পরিবেশবিদদের। ঘটনাটি পূর্ব অস্ট্রেলিয়ার মেনিন্দির।
অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন এলাকা দিয়ে বইছে কয়েক হাজার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মুরে-ডার্লিং নদী ও তার বিভিন্ন শাখা নদী। তারই একটি শাখা হল ডার্লিং। এই নদীর মাছেরাই আক্রান্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার দীর্ঘমেয়াদি খরায়। সেইসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় প্রচণ্ড রকমের দাবদাহ আরও অসহনীয় করে তুলেছে আবহাওয়াকে। এই ঘটনা তারই ফলশ্রুতি বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
কয়েক সপ্তাহ আগেই বর্ষাকাল দেরি করে আসার কারণে ব্যাপক তাপপ্রবাহ দেখা দিয়েছিল উত্তর অস্ট্রেলিয়ার কিছু এলাকায়। সেখানেও নদী উপকূলে ভেসে উঠেছিল প্রায় দশ লাখ মৃত মাছ। এর জন্য নদীতে জলের পরিমাণ কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নদীর জলে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়া ও জলে বিষাক্ত শ্যাওলার উপস্থিতিকে দায়ী করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। সেই ঘটনার পরেই গত কয়েক দিনে ডার্লিং নদীতে নতুন করে এই বিপুল সংখ্যক মৃত মাছ ভেসে ওঠায় নড়েচড়ে বসেছেন স্থানীয় পরিবেশবিদেরা। ঘটনার গুরুত্ব অনুধাবন করতে নিউ সাউথ ওয়েলসের বিশেষজ্ঞরা এলাকাটি পরিদর্শন করেছেন। এক বিবৃতিতে তাঁরা জানিয়েছেন, কয়েক লাখ মাছ মারা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, আরও বিপুল সংখ্যক মাছ মারা যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে বিবৃতিতে। নদীর জলে দূষণের মাত্রাও মারাত্মক বেড়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: ছিটকে যাচ্ছে বাস, কাঁপছে বিমান! ভয়ঙ্কর টর্নেডোর ভিডিয়ো ভাইরাল
এই অবস্থায় ২৯ জানুয়ারি মেনিন্দি সফর করেছেন নিউ সাউথ ওয়েলসের জলমন্ত্রী নিয়াল ব্লেয়ার। সেখানে নিজেদের অসহায়তার কথা রীতিমতো স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। নদীগুলোতে অ্যারেটর বা জলে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়ানোর যন্ত্র স্থাপন করা ছাড়া তাঁর সরকারের হাতে আর অন্য কোনও উপায় নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি করেছে ফেসবুক! অর্ধেক অ্যাকাউন্টই ভুয়ো, দাবি মার্কের বন্ধুর