জখম: চিকিৎসা চলছে এক সিরীয় শিশুর। তাল আবিয়াদে। রয়টার্স
চুক্তির শর্ত মেনে অবশেষে উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় সীমান্ত এলাকা খালি করতে রাজি হলেন কুর্দ যোদ্ধারা। মার্কিন হস্তক্ষেপে বৃহস্পতিবার তুরস্ক এবং কুর্দ বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষবিরতি শুরু হলেও বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষের খবর মিলছিল রোজই। সে দিক থেকে আজ কুর্দদের এই ‘নমনীয়’ অবস্থান এলাকায় শান্তি ফেরাতে অনেকটাই কাজে দেবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কুর্দ নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সের (এসডিএফ) আধিকারিক রেদুর খলিল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, চুক্তি মেনেই রাস আল-অইন থেকে সরে যেতে রাজি হয়েছেন কুর্দরা।
কুর্দরা সরে গেলে দীর্ঘদিন তুরস্কে থাকা সিরীয় শরণার্থীদের সেখানে পুনর্বাসন দিতে ‘সেফ জ়োন’ তৈরি করতে চান তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিচেপ তায়িপ এর্ডোয়ান। আর সে জন্য কুর্দদের পাঁচ দিন সময় দেওয়া হয়েছে চুক্তিতে। যদিও সংঘর্ষবিরতির তৃতীয় দিনেও কুর্দ যোদ্ধাদের সঙ্গে তুর্কি বাহিনীর সংঘর্ষের খবর মিলেছে সীমান্ত শহর তাল-আবিয়াদ থেকে। তুর্কি বিদেশ মন্ত্রকের দাবি, ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী অস্ত্র-সহ কুর্দদের একাধিক হামলায় তাদের এক সেনার মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ, ৯ অক্টোবর
অভিযান শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত নিহত তুর্কি সেনার সংখ্যা বেড়ে
দাঁড়াল সাতে।
কুর্দদের যদিও দাবি, সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে তুরস্কই বিনা প্ররোচনায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাস আল-অইন শহর ও সংলগ্ন এলাকায় তুরস্কের হামলায় এসডিএফের ১৬ জন সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। আহত তিন। তাই কুর্দরা খানিক সুর নরম করলেও আদৌ তাতে কাজের কাজ কিছু হবে কি না, সন্দেহ প্রকাশ করেছেন কূটনীতিকদের একটা বড় অংশ।
এই চাপানউতোরটা চলছেই। এসডিএফের মুখপাত্র বালি মোস্তাফা এ দিনও দাবি করেন, আইএস জঙ্গিরাও ডেরা থেকে বেরিয়ে এসে এখন তুর্কি বাহিনীর সঙ্গে সীমান্ত পাহারা দিচ্ছে। হুমকি দিচ্ছে— রাস্তায় কুর্দ দেখলেই মাথা কেটে ফেলো।