রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। — ফাইল চিত্র।
তিনি পরমাণু অস্ত্র ‘প্রয়োজনে ব্যবহার করা’র কথা বললেও পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দেননি। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে আজ এমনটাই দাবি জানাল ক্রেমলিন।
আগামিকাল থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন রাশিয়ায়। সকলেই নিশ্চিত পুতিন ফের সর্বোচ্চ পদে নির্বাচিত হবেন। এ অবস্থায় গত কাল রুশ সংবাদমাধ্যমে পুতিনের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়। সেখানে তাঁকে পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার অবস্থান কী, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। জবাবে পুতিন জানান, রাশিয়ার সার্বভৌমত্ব যদি কোনও ভাবে আক্রান্ত হয়, তা হলে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করা হবে। তিনি আরও ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘‘যদি সামরিক দিক থেকে জানতে চান, অবশ্যই আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’’ এ-ও জানান, আমেরিকা যদি ইউক্রেনে সেনাবাহিনী পাঠায়, তা হলে দ্বন্দ্ব আরও বাড়বে। পুতিনের এ হেন মন্তব্যে পর হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে, তারা বুঝতে পারছে রুশ নেতা তাঁদের পরমাণু-তত্ত্বের পুনর্ব্যাখ্যা করছেন। কিন্তু রাশিয়া যে ‘বেপরোয়া ও দায়িত্বজ্ঞানহীন ভাবে’ পরমাণু হামলার উস্কানি দিয়ে যাচ্ছে গোটা যুদ্ধ-পর্বে, তা-ও মনে করিয়ে দেয় তারা।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভের বক্তব্য, পুতিন ওই বিষয়ে সে ভাবে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরই দেননি। তিনি শুধু, রাশিয়ার যা অবস্থান, যেটা সকলেরই জানা, সেটাই পুনর্ব্যাখ্যা করেছেন। পেসকোভ মনে করিয়ে দিয়েছেন, পুতিনই কিন্তু বলেছেন পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করার কথা তাঁর মাথাতেই আসেনি।
হোয়াইট হাউসের বক্তব্য নিয়ে পেসকোভ বলেন, ‘‘অপ্রাসঙ্গিক ভাবে ওরা এ ধরনের কথা বলছে। ওই সাক্ষাৎকারে পুতিন কখনওই পরমাণু হামলার হুমকি দেননি। প্রেসিডেন্ট শুধু জানিয়েছেন, কোন পরিস্থিতিতে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে।’’ সংবাদ সংস্থা