King Charles

রাজার নির্দেশ, ফের কাছাকাছি হ্যারি-উইলিয়াম

বালমোরাল প্রাসাদে সে দিন সবার শেষে পৌঁছেছিলেন হ্যারি। পরের দিন অর্থাৎ শুক্রবার সবার আগে বেরিয়ে আসেন। একাই লন্ডনে ফেরেন। শোনা গিয়েছিল, সে দিনও দুই ভাইয়ের মধ্যে তেমন কথা হয়নি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লন্ডন শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৬:৫৬
Share:

রাজা তৃতীয় চার্লস। — ফাইল চিত্র।

রাজা হিসেবে দেশবাসীর উদ্দেশে তাঁর প্রথম বক্তৃতাতেই চার্লস স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, দুই ছেলেই তাঁর পরম স্নেহের। বলেছিলেন, ‘‘হ্যারি ও মেগান বিদেশে ঘর বেঁধেছে, ওঁদের জন্যেও আমার অনেক ভালবাসা রইল।’’ তার পরই রানি দ্বিতীয় এলিজ়াবেথের প্রয়াণে আমজনতার দেওয়া শ্রদ্ধার্ঘ্য দেখতে একসঙ্গে উইনসর প্রাসাদের বাইরে হাজির হলেন দুই ভাই উইলিয়াম ও হ্যারি। সঙ্গে তাঁদের স্ত্রীরা। যাঁদের দেখে রাজপরিবারের অসংখ্য ভক্তের ভিড় থেকে উল্লাস শোনা যায়— ‘ফ্যাব ফোর’। অর্থাৎ ‘অসাধারণ চার জন’। সুসময়ে এই নামেই পরিচিত ছিলেন রাজা তৃতীয় চার্লসের দুই ছেলে ও তাঁদের স্ত্রীরা।

Advertisement

রাজপরিবারে ভাঙন কি তবে জোড়া লাগবে? বিবাদ কি তবে মিটবে? তেমনই শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে। ঠাকুমা-বাবা-দাদা, সকলের প্রতি নানা অভিযোগ জানিয়ে পরিবার ছেড়ে স্বেচ্ছায় বেরিয়ে গিয়েছিলেন রাজকুমার হ্যারি। যাওয়ার আগে তাঁর স্ত্রী মেগানও অভিযোগ করেছিলেন, বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করা হয়েছে তাঁর ও তাঁর সন্তান আর্চির বিরুদ্ধে। রাজবাড়ির দুর্ব্যবহারে তিনি অবসাদে ভুগেছেন বলেও দাবি করেছিলেন মেগান।

দেশ ছেড়ে আমেরিকায় সংসার শুরু করেন ডিউক ও ডাচেস অব সাসেক্স। ঘটনাচক্রে এই সময়ে তাঁরা ব্যক্তিগত কাজে ব্রিটেনে এসেছিলেন। হঠাৎই ঠাকুমার মৃত্যু। বালমোরাল প্রাসাদে সে দিন সবার শেষে পৌঁছেছিলেন হ্যারি। পরের দিন অর্থাৎ শুক্রবার সবার আগে বেরিয়ে আসেন। একাই লন্ডনে ফেরেন। শোনা গিয়েছিল, সে দিনও দুই ভাইয়ের মধ্যে তেমন কথা হয়নি। দেশবাসী ভেবেছিলেন, উইনসর প্রাসাদের বাইরে এ দিনও হয়তো শুধু রাজকুমার উইলিয়াম ও তাঁর স্ত্রী ক্যাথরিনকে (বা কেট) দেখতে পাওয়া যাবে। কিন্তু সকলকে অবাক করে দিয়ে একটি কালো আউডি থেকে নামেন, উইলিয়াম-কেট ও হ্যারি-মেগান। চারপাশে উপস্থিত ভিড়ের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়। তার পর প্রবল উচ্ছ্বাস। প্রায় ৪০ মিনিট সাধারণের মানুষের সঙ্গে কাটান চার জনে। ঠাকুমার স্মৃতিতে রাখা ফুলের শ্রদ্ধার্ঘ্য দেখেন। মাঝেমাঝে শুভানুধ্যায়ীদের সঙ্গে হাত মেলান, কথা বলেন। হ্যারি ও মেগানকে লাল গোলাপ দেন অনেকে। শুভকামনা জানান। এর পর চার জনে একসঙ্গেই গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যান। চালকের আসনে ছিলেন উইলিয়াম। তাঁর পাশে কেট। পিছনের আসনে হ্যারি-মেগান। ফ্রগমোর কটেজের উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা। ব্রিটেনে এটিই হ্যারি-মেগানের ঠিকানা।

Advertisement

প্রাসাদ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই ছেলেকে মুখোমুখি বসিয়ে কথা বলেছেন চার্লস। বলেছেন, সব ঝামেলা মিটিয়ে নিতে। চার্লসের সঙ্গে কথা বলার পরে উইলিয়াম একটি অলিভ গাছের ছোট্ট ডাল এগিয়ে দেন ভাইয়ের দিকে। মৈত্রীর বার্তাসূচক। পরে উইলিয়াম নিজেই ফোন করেন হ্যারিকে। উইনসর প্রাসাদের বাইরে আমজনতার সঙ্গে সাক্ষাৎপর্বে একসঙ্গে যাওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি। দাদার কথা ফিরিয়ে দেননি হ্যারি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement