আবেগতাড়িত হয়ে চশমা খুলে ফেলেছেন কিম।
বিশ্ব জুড়ে তাঁর পরিচিতি ‘নির্মম’ শাসক হিসাবে। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা সেই কিম জং উনকেই দেখা গেল চোখের জল ফেলতে। প্রথম বারের জন্য দেশবাসীর কাছে দেখা গেল ক্ষমা চাইতেও। শুধু উত্তর কোরিয়াই নয়, গত শনিবার এমন বিরল দৃশ্যের সাক্ষী হল গোটা বিশ্ব।
ওই দিন ছিল উত্তর কোরিয়ার শাসক দল ‘ওয়ার্কার্স পার্টি’র ৭৫তম বর্ষপূর্তি ছিল। সেই উপলক্ষে পিয়ংইয়ংয়ে সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। সেই মঞ্চেই ভাষণ দেন কিম। তিনি বলেন, ‘‘আমার উপর আকাশের মতো উঁচু এবং সমুদ্রের মতো গভীর বিশ্বাস রেখেছে দেশবাসী। কিন্তু আমি তাঁদের সন্তুষ্ট করতে ব্যর্থ হয়েছি। আমি এর জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।’’ এ কথা বলার সময় নিজের চশমা খুলে চোখ মুছতে দেখা যায় কিমকে। সে দিন কিমের বক্তৃতার ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে ‘কোরিয়া টাইমস’। তাতেই দেখা গিয়েছে এই বেনজির দৃশ্য। জীবন বাজি রাখার জন্য সেনাবাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদও জানান তিনি।
কিম আরও বলেন, ‘‘কিম ২ সাং ও কিম জং ইলের উদ্দেশ্যপূরণ করার জন্য দেশের মানুষ আমাকে এই দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন। কিন্তু দেশবাসীর জীবনের মানোন্নয়নের জন্য আমার চেষ্টা এবং আন্তরিকতা যথেষ্ট ছিল না।’’ বিশ্লেষকদের একাংশের ধারণা, নাগরিকদের সহানুভূতি কুড়োতেই এ দিন নিজের বক্তৃতার বেশির ভাগ অংশ ব্যয় করেন কিম। এ দিন অবশ্য সামরিক কুচকাওয়াজে আন্তর্মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র-সহ নানা যুদ্ধাস্ত্রের প্রদর্শনীও চলে।
আরও পড়ুন: চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন সৌমিত্র, খুলে নেওয়া হয়েছে বাইপ্যাপ সাপোর্ট
আরও পড়ুন: শিলিগুড়ি সফরে অমিত শাহ, বৈঠক গোটা উত্তরবঙ্গকে নিয়ে
উত্তর কোরিয়া শেষ কবে এমন আবেগতাড়িত দৃশ্যের সাক্ষী থেকেছে তা মনে করতে পারছেন না অনেকেই। পরমাণু পরীক্ষার চালানোয় উত্তর কোরিয়ার উপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তার জেরে কিছুটা চাপে কিম। সেই চাপ বাড়িয়েছে সম্প্রতি সে দেশে ভয়াল ঝড়ের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়। কিমের মুখে সেই প্রতিকূল অবস্থার কথাই এ দিন উঠে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নতির দিকে নজর দেওয়ার কথাও বলেছেন কিম।