Congo

Human flesh: মানুষের মাংস রেঁধে, খেতে বাধ্য করে জঙ্গিরা, ধর্ষিতা তরুণীর কাহিনিতে স্তব্ধ রাষ্ট্রপুঞ্জ

কঙ্গোয় নারী অধিকার নিয়ে কাজ করে এমন একটি সংগঠন বুধবার রাষ্ট্রপুঞ্জে জানায়, ওই মহিলাকে দু’বার অপহরণ করা হয়েছিল। দু’বারই তাঁর একই অভিজ্ঞতা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২২ ১২:০০
Share:

প্রতীকী ছবি।

জঙ্গিরা তাঁকে দু’বার অপহরণ করেছিল। অত্যাচারও চলেছে অকথ্য। এহ বাহ্য, তরুণীকে বার বার ধর্ষণের পাশাপাশি মানুষের মাংস রেঁধে, তা খেতে বাধ্য করেছিল জঙ্গিরা। মানবাধিকার সংগঠনের মুখে এই কাহিনি শুনে স্তব্ধ হয়ে গেলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের তাবড় সদস্যরা। ঘটনাটি ঘটেছে গণ প্রজাতান্ত্রিক কঙ্গোয়।

Advertisement

বুধবার, কঙ্গো-পরিস্থিতি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনা চলছিল। সেই সময়ই কঙ্গোস্থিত একটি নারী অধিকার রক্ষা সংগঠনের প্রেসিডেন্ট জুলিয়েন লুসেঞ্জ একটি রুদ্ধশ্বাস ঘটনার কথা তুলে ধরেন। তিনি জানান, কঙ্গোর এক মহিলা কোডেকো জঙ্গিদের কাছে অন্য এক অপহৃতকে ছাড়াতে গিয়ে নিজেও অপহৃত হয়ে যান। জঙ্গিরা তাঁকে বার বার ধর্ষণ করে। চলে অকথ্য অত্যাচার। তার পর তাঁর সামনেই এক জনের গলা কেটে ফেলে জঙ্গিরা।

এর পর গলা কাটা দেহ থেকে অন্ত্রটি খুবলে বের করে মহিলার দিকে এগিয়ে দেয় জঙ্গিরা। এবং তাঁকে সেই অন্ত্র রান্না করার নির্দেশ দেয়। সেই রান্না করা অন্ত্রই খেতে হয় মহিলাকে। এখানেই শেষ নয়। ক’দিন বাদে মহিলাকে কোডেকো জঙ্গিরা ছেড়ে দেয়। বাড়ি ফেরার পথে আবার তাঁকে অপহরণ করে অন্য এক জঙ্গিগোষ্ঠী। সেখানেও একই ঘটনা ঘটে তাঁর সঙ্গে। বার বার গণধর্ষণ এবং মানুষের মাংস রেঁধে খাওয়া! কোনও রকমে সেখান থেকে পালান মহিলা।

Advertisement

জুলিয়েনের মুখে মহিলার কথা শুনে স্তব্ধ হয়ে যায় নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলি। প্রসঙ্গত, কঙ্গোয় গৃহযুদ্ধ সামাল দিতে দু’দশক ধরে সেখানে রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন আছে। কিন্তু অশান্তি থামার নাম নেই।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement