ডায়ানার মতোই চিত্রালি টুপিতে সেজেছেন কেট। নিজস্ব চিত্র
পাঁচ দিনের পাকিস্তান সফরে যাওয়ার আগে ডাচেস অব কেমব্রিজের ‘স্টাইলিস্টদের’ একটা কথাই বলা হয়েছিল: প্রয়াত যুবরানি ডায়ানা তাঁর বিভিন্ন পাক সফরে যে ধরনের পোশাক পরেছিলেন, ফিরিয়ে আনতে হবে সেই স্মৃতি। রাওয়ালপিন্ডিতে পাক বায়ুসেনার নুর খান ঘাঁটিতে সোমবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ কেট যখন বিমান থেকে নামলেন, তাঁর পরনের সালোয়ার কামিজ মনে করাচ্ছিল তাঁর শাশুড়ি মাকে-ই।
কেটকে সাজানোর দায়িত্বে ছিলেন পাকিস্তান এবং ব্রিটেনের বিভিন্ন ডিজ়াইনার। ব্রিটেনের যুবরাজ চার্লস এবং ক্যামিলার সফরের ১৩ বছর পরে ফের ব্রিটিশ রাজপরিবারের তরফে কেট-উইলিয়াম পা রেখেছেন পাকিস্তানে। তাঁরা যে সব জায়গায় গিয়েছেন, যে ধরনের পোশাকে সেজেছেন, সবেতেই ডায়ানার ছাপ। ইসলামাবাদ, লাহৌর এবং চিত্রালের পার্বত্য এলাকায় গিয়েছিলেন ডায়ানা। ডিউক ও ডাচেস অব কেমব্রিজও তাই যাচ্ছেন। এ সফরে উইলিয়াম সাযুজ্য রেখে পরেছেন শেরওয়ানি।
পাকিস্তানের সঙ্গে ডায়ানার ভালই যোগাযোগ ছিল। ১৯৮৯ সালে উইম্বলডন দেখতে গিয়ে বেনজ়ির ভুট্টো আমন্ত্রণ জানান ডায়ানাকে। সে সাক্ষাতের কিছু পরেই সেনা অভ্যুত্থানে ভুট্টোকে সরিয়ে দেওয়া হয়। শেষমেশ ১৯৯১ সালে প্রথম বার পাকিস্তানে যান ডায়ানা। চার্লসের সঙ্গে তাঁর বিয়ে তখন ভাঙার মুখে। পাকিস্তান অবশ্য সাদরে অভ্যর্থনা জানায় ডায়ানাকে। এর পরে পাক হৃদ্রোগ-বিশেষজ্ঞ হসনত খানের সঙ্গে ডায়ানার সম্পর্ক তৈরি হওয়ার পরে ফের ১৯৯৬ সালে পাকিস্তানে যান তিনি। সে বার ছিলেন বন্ধু জেমাইমার সঙ্গে। বর্তমান পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তখন জেমাইমার স্বামী। এ বার উইলিয়াম-কেটও দেখা করেছেন ইমরানের সঙ্গে। কথা হয়েছে ডায়ানাকে নিয়ে। ইমরান যখন ডায়ানার বন্ধু, উইলিয়াম তখন অনেকই ছোট। আর ইমরান প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা, রাজনীতির অলিন্দে আসার কথা ভাবছেন।
সাজানো-গোছানো অটোরিকশায় চড়ে গত রাতে উইলিয়ামরা যান ব্রিটিশ হাইকমিশনারের নৈশভোজে। আজ গিয়েছিলেন খাইবার পাখতুনখোয়ার চিত্রালে। সেখানে কেটকে দেওয়া হয় চিত্রালি টুপি, যা পরেছিলেন ডায়ানাও। হিন্দুকুশ পর্বতমালার একাংশে একটি হিমবাহ গলে যাচ্ছে। সে পরিস্থিতি দেখে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ জানান উইলিয়ামরা। এ সফরে জলবায়ু পরিবর্তনে গুরুত্ব দিতে চেয়েছেন তাঁরা। ১৮ অক্টোবর তাঁদের ফিরে আসার কথা। তার আগে উইলিয়ামরা ঘুরে যাবেন লাহৌরে।