কমলা হ্যারিস। —ফাইল চিত্র।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পরাজয়ের পর প্রথম বার মুখ খুললেন কমলা হ্যারিস। বুধবার ওয়াশিংটন ডিসির হোয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে দাঁড়িয়ে তিনি পরাজয় স্বীকার করে নেন। ১৫ মিনিটের ভাষণে রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পকে ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে খোঁচা দিতেও ছাড়েননি কমলা। ডেমোক্র্যাট সমর্থকদের উৎসাহ জুগিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট এ-ও জানান যে, লড়াই থামাবেন না তিনি।
কমলা বলেন, “এই প্রচারকে যে লড়াই উৎসাহ জুগিয়েছে, তা আমি থামাব না। আমি স্বাধীনতা, সুবিধা, সব মানুষের সম্মানের জন্য লড়াই করব।” সমর্থকদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘লড়াই ছাড়বেন না’। ভোটের ফলাফল স্পষ্ট হওয়ার পরেই ট্রাম্পকে ফোন করে তিনি শুভেচ্ছা জানান কমলা। পরাজিত ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর খোঁচা, “আমি তাঁকে (ট্রাম্প) বললাম আমরা তাঁর টিমকে ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারে সাহায্য করব। শান্তিপূর্ণ ভাবেই এই হস্তান্তরের প্রক্রিয়া হবে।” নাম না করলেও অনেকেই মনে করছেন ২০২০ সালে ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনা নিয়ে ট্রাম্পকে নিশানা করেছেন কমলা।
খানিক আবেগতাড়িত হয়েই কমলাকে বলেন,“আজ আমার হৃদয় আপনাদের বিশ্বাস, ভালবাসায় পরিপূর্ণ। যে ফলাফল এসেছে, তা আমরা চাইনি। আমরা তার জন্য লড়াইও করিনি। কিন্তু আমেরিকাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি সর্বদা উজ্জ্বল হয়ে জ্বলবে।”
নিজের জয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরে বুধবার ফ্লরিডায় বিজয়-ভাষণ দেন ট্রাম্প। তাঁর বক্তব্যের সিংহভাগ জুড়ে ছিল, আমেরিকাকে জগৎসভায় ফের শ্রেষ্ঠ করে তোলার আশ্বাস। মঞ্চে উঠেই ‘বিপুল জয়ের’ জন্য আমেরিকাবাসীকে ধন্যবাদ জানান ট্রাম্প। বলেন, “সমালোচকদের ভুল প্রমাণিত করে আমরা জয়ী হতে চলেছি। আমেরিকা অভূতপূর্ব এবং শক্তিশালী রায় দিয়েছে।” অন্য দিকে, পরাজয় নিশ্চিত বুঝে হোয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতার সময় পিছিয়ে দেন কমলা। দিনের শেষে সেখানেই ভাষণ দিয়ে হার স্বীকার করে নিলেন তিনি।