কাতারে কাতারে মানুষ দেশ ছেড়ে পালাতে চাইছেন। ছবি: রয়টার্স।
প্রতি দিন হাজার হাজার পাসপোর্টের আবেদন জমা পড়ছে কাবুলের পাসপোর্ট অফিসে। সেই চাপ সামলাতে না-পেরে অকেজো হয়ে গিয়েছে দফতরের বায়োমেট্রিক যন্ত্র। তার জেরে আপাতত দফতর বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
তালিবান জমানায় নিরাপদ ভবিষ্যতের আশ্বাস আফগানিস্তানের মানুষের কাছে স্বপ্ন মাত্র। তার উপরে রয়েছে অর্থনীতির বেহাল দশা। শীত যত জাঁকিয়ে পড়ছে দেখা দিচ্ছে খাদ্য-সঙ্কট। চাকরি নেই, পরিষেবা নেই, নিরাপত্তা নেই। ফলে কাতারে কাতারে মানুষ দেশ ছেড়ে পালাতে চাইছেন। সেই কারণে রোজ লম্বা লাইন পড়ছে পাসপোর্ট অফিসে।
কাবুলের পাসপোর্ট দফতরের ডিরেক্টর আলম গুল হক্কানি বলেছেন, ‘‘রোজ ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষ জড়ো হচ্ছেন পাসপোর্ট অফিসে। স্বাভাবিক ভাবে আমাদের যতটা লোক সামলানোর ক্ষমতা রয়েছে, এখন সংখ্যাটা তার থেকে ৫-৬ গুণ বেশি। ওঁরা বাইরের রাস্তাতেই অপেক্ষা করছেন রাতভর।’’ চাপ সামলাতে না-পেরে অকেজো হয়ে গিয়েছে বায়োমেট্রিক যন্ত্র। যার ফলে সারাদিন অপেক্ষার পরেও কাজ না-হওয়ার ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন মানুষ। হয়রানি রুখতে মঙ্গলবার থেকে আগামী কয়েক দিন পাসপোর্ট অফিসের সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছেন কর্তৃপক্ষ। এক সাক্ষাৎকারে আলম গুল হক্কানি বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটি সামলে নিয়ে দ্রুত অফিস খোলার ব্যবস্থা করা হবে।
এই পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানে ভুয়ো পাসপোর্ট চক্র মাথা চাড়া দিচ্ছে। আজ তালিবান সরকারের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী জানান, ভুয়ো নথি ব্যবহার করে পাসপোর্ট জালের অভিযোগে ৬০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যার মধ্যে কয়েক জন পাসপোর্ট দফতরের কর্মীও রয়েছেন। প্রশাসন সূত্রের খবর, পাসপোর্টের আবেদন মঞ্জুরের জন্য সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার প্রচুর অভিযোগ আসছে।