সেই বিতর্কিত পোস্টার।
‘কালী’ পোস্টার বিতর্কে ভারতীয়দের কাছে অনুশোচনা প্রকাশ করল কানাডা। টরন্টোর আগা খান জাদুঘর জানিয়েছে, ওই পোস্টারর জন্য অসাবধানতাবশত তাঁরা হিন্দু এবং অন্য যে সব ধর্মবিশ্বাসীদের মনে আঘাত তার জন্য তার গভীর ভাবে দুঃখিত।
যে পোস্টার ঘিরে বিতর্ক সেটি একটি তথ্যচিত্রের। কানাডাবাসী মাদুরাইয়ের পরিচালক লীনা মনিমেকালাই পরিচালিত ওই তথ্যচিত্রের নামই ‘কালী’। ছবিটি সম্প্রতি টরন্টোর মেট্রোপলিটান বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে অন্য আরও ১৭টি ভিডিয়োর সঙ্গে দেখানো হচ্ছিল আগা খান জাদুঘরে। সে খানেই পড়েছিল ছবির পোস্টার। যাতে দেখা যাচ্ছে হিন্দু দেবী কালীর মতো সেজে এক ব্যক্তি এক হাতে সিগারেটে সুখটান দিচ্ছেন। তাঁর ঠিক পিছনেই দেখা যাচ্ছে রূপান্তরকামীদের আন্দোলনের সাতরঙা পতাকা।
এই পোস্টার ঘিরেই শুরু হয় বিতর্ক। যা থেকে স্পষ্টতই নিজেদের দূরে সরিয়ে নিতে চেয়েছে কানাডার আগা খান জাদুঘর। বুধবার এ বিষয়ে একটি বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘টরন্টো মেট্রোপলিটান বিশ্ববিদ্যালয়ে শিল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্কৃতির আদান প্রদানের লক্ষ্য নিয়েই ১৮টি ছোট তথ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করেছিল। কোনও ধর্মবিশ্বাসে আঘাত দেওয়ার লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য তাদের ছিল না।’ তবে একইসঙ্গে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ এ-ও জানিয়েছেন যে, লীনার তথ্যচিত্র এবং তার পোস্টার অসাবধানতাবশত যে অসন্তোষ তৈরি করেছে তার জন্য তাঁরা অনুতপ্ত।
উল্লেখ্য, লীনার ওই তথ্যচিত্রের পোস্টার নিয়ে কানাডার ভারতীয়দের একাংশ অসন্তোষ প্রকাশ করলে কানাডার হাই কমিশনের তরফেই কানাডার প্রশাসনকে বলা হয় উসকানিমূলক পোস্টার সরিয়ে ফেলতে। তার পরই তড়ি ঘড়ি অনুশোচনা প্রকাশ করল কানাডার জাদুঘর। এ দিকে, বিতর্কিত তথ্যচিত্রের পরিচালক লীনার বিরুদ্ধে ভারতেও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগে একাধিক এফআইআর দায়ের হয়েছে।