জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের জয়ের উপরে চূড়ান্ত সিলমোহর দিল দেশের সংবিধান। ৩ নভেম্বর নির্বাচনের প্রায় ছ’সপ্তাহ পরে আমেরিকার ইলেক্টোরাল কলেজ সোমবার জানিয়ে দিল, বাইডেন পেয়েছেন ৩০২টি ভোট, সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ২৭০টি ভোটের থেকে অনেকটাই বেশি। আর বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩২টি ইলেক্টোরাল ভোট।
এ বার চূড়ান্ত ফল ঘোষণা হতে যে দেরি হবে, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল নির্বাচনের আগেই। তার প্রধান কারণ— অতিমারি পরিবেশে বিপুল সংখ্যক মানুষ পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিয়েছিলেন। এর সঙ্গে যোগ হয় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাচনী ফলাফল মেনে না-নেওয়া এবং একের পর এক মামলা করে ভোটের ফলকে চ্যালেঞ্জ করে যাওয়া। দু’দিন আগে দেশের শীর্ষ আদালত ট্রাম্পের করা সর্বশেষ মামলাটি খারিজ করে দেওয়ার ফলে সেই আইনি জটিলতা শেষ পর্যন্ত সমাপ্ত হয়।
সোমবার দেশের ৫০টি প্রদেশ এবং রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ভোট দেওয়া শুরু করেন ইলেক্টরেরা। ৪৯টি প্রদেশ ও ডিসি-র গণনা শেষ হয়ে যাওয়ার পরে দেখা যায়, ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩২ ভোট এবং বাইডেন ২৪৭টি ভোট। তখনও ফল জানায়নি দেশের সব থেকে বড় প্রদেশ— ক্যালিফর্নিয়া। স্থানীয় সময় সোমবার রাতে ডেমোক্র্যাটদের শক্ত ঘাঁটি ক্যালিফর্নিয়ার ৫৫টি ইলেক্টোরাল ভোট ঢুকে যায় বাইডেনের ঝুলিতে। যার ফলে বাইডেনের ইলেক্টোরাল ভোট সংখ্যা দাঁড়ায় ৩০২। তার পরেই আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে জোসেফ বাইডেনের নাম ঘোষণা করে ইলেক্টোরাল কলেজ।
ঘোষণার পরে বাইডেন বলেন, ‘‘আমাদের দেশের গণতন্ত্র এক কঠিন পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে গেল। এ বার এক নতুন অধ্যায় শুরু হবে।’’