আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফাইল ছবি।
কম্পিউটার চিপের বাজার করায়ত্ব করতে পদক্ষেপ শুরু করল আমেরিকা। বর্তমানে যে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে চিন। নয়া আইনে সরাসরি আমেরিকার অভ্যন্তরে ২৮ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হবে। এর ফলে সেমিকন্ডাক্টর বা কম্পিউটার চিপের জন্য আমেরিকাকে আর বৈদেশিক রাষ্ট্রের উপর নির্ভর করতে হবে না। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বাইডেনের এই পদক্ষেপ মূলত চিনের রমরমাকে বন্ধ করার প্রয়াস।
সম্প্রতি তাইওয়ান সফরে গিয়ে তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কর্পোরেশন বা টিএসএমসির চেয়ারম্যান মার্ক লুইয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন আমেরিকার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। আগামী দিনের দিকে তাকিয়ে তাইওয়ান তথা চিন নিয়ন্ত্রিত চিপ বাজারের বিকল্প নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। মঙ্গলবার তাতেই সিলমোহর পড়তে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
শুক্রবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘‘আমরা এ বার থেকে আমেরিকাতেই বিনিয়োগ করার কথা ভাবছি।’’
ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, আগামী দিনে ৫জি প্রযুক্তির বিপুল সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল হয়ে উঠেছে কম্পিউটার চিপ। যে চিপের বাজার মূলত নিয়ন্ত্রিত হয় এশিয়া থেকে। এ দিকে আমেরিকায় ক্রমশ বেড়ে চলা ৫জি বাজারের আরও বিস্তারের জন্য প্রয়োজন চিপ। কিন্তু আমেরিকা-চিনের পারস্পরিক সম্পর্ক যে খাতে বইছে, তাতে আগামী দিনে চিপের সহজলভ্যতা নিয়ে সমস্যার আশঙ্কা করছে হোয়াইট হাউস। তাই অন্যের অপেক্ষায় বসে না থেকে নিজের দেশের চিপ শিল্পকেই চাহিদা অভ্যন্তরীণ মেটানোর জন্য ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত।
হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, মাইক্রন নামে একটি সংস্থা চার হাজার কোটি ডলার এবং কোয়ালকম ও গ্লোবাল ফাউন্ড্রিজ চার হাজার ২০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা নিয়েছে।