জো বাইডেন রয়টার্স
ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে অবশেষে মুখ খুললেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সোমবার ইজ়রায়েলের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তিনি। পরে হোয়াইট হাউসের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, ইজ়রায়েল-প্যালেস্তাইন যুদ্ধবিরতির পক্ষে সওয়াল করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। অদূর ভবিষ্যতেই এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে মিশর ও অন্যান্য মধ্যস্থকারী দেশের সঙ্গে আলোচনায় বসবে ওয়াশিংটন। তবে একই সঙ্গে বিবৃতিতে এ কথাও বলা হয়েছে যে, ‘‘আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে ইজ়রায়েলের।’’
আমেরিকার এই ইজ়রায়েলপন্থী অবস্থানের সমালোচনা করে প্যালেস্তাইনের অন্যতম কট্টর সমর্থক, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তায়িপ এর্ডোয়ান আজ বলেন, ‘‘বাইডেনের হাতে রক্তের দাগ লেগে থাকবে। ইজ়রায়েল-প্যালেস্তাইনের যে রক্তক্ষয়ী ইতিহাস লেখা হচ্ছে, তার জন্য দায় নিতে হবে তাঁকেও।’’ এর্ডোয়ান জানান, আমেরিকা যে ফের ইজ়রায়েলকে অস্ত্র বিক্রি করেছে, কালই তা খবরে প্রকাশিত হয়েছে।
‘আত্মরক্ষার’ জিগির তুলেই নেতানিয়াহু কাল হুঙ্কার দিয়েছিলেন— গাজ়া লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ চালিয়েই যাবেন তাঁরা। ইজ়রায়েল সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিদাই জ়িলবারমান আজ বলেন, ‘‘হামাসের সাম্প্রতিকতম ঘাঁটিগুলির তালিকা আমরা তৈরি করে রেখেছি। সেগুলি লক্ষ্য করেই রকেট ছোড়া হচ্ছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আইডিএফ (ইজ়রায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস) আদপেই অস্ত্রসংবরণের কথা ভাবছে না। আমরা ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ চালিয়ে যাব।’’
কাল রাতে অন্তত ৬০টি রকেট এসে পড়েছে গাজ়ায়। তবে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ১০ মে-র পরে এই প্রথম কোনও মৃত্যুর খবর নেই হামাস অধ্যুষিত এই এলাকা থেকে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রের খবর, গতকাল রাত থেকে গাজ়ার দিক থেকে ইজ়রায়েলের উদ্দেশে উড়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যাও অনেকটাই কমে গিয়েছে।