আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। —ফাইল চিত্র।
রাসায়নিক অস্ত্রের সম্ভার আমেরিকা পুরোপুরি ধ্বংস করে ফেলেছে বলে শুক্রবার দাবি করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিন দশকের পুরনো রাসায়নিক অস্ত্র চুক্তির প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এই পদক্ষেপ। বাইডেন বলেছেন, ‘‘...আমি গর্বের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমেরিকার কাছে মজুত থাকা রাসায়নিক অস্ত্রের শেষ ভান্ডারটিও নিরাপদে ধ্বংস করা হয়েছে। এতে রাসায়নিক অস্ত্রের ভয়াবহতা থেকে পৃথিবীকে মুক্ত করার পথে আমরা এক ধাপঅগ্রসর হলাম।’’
কেমিক্যাল ওয়েপনস কনভেনশনে রাসায়নিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের চুক্তি হয়েছিল। রাসায়নিক অস্ত্র উৎপাদন, মজুদ ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা ও মজুত অস্ত্র ধ্বংসের কথা বলা হয় তাতে। ১৯৯৩ সালে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। কার্যকর হয় ১৯৯৭ সাল থেকে। চুক্তিতে স্বাক্ষর করা দেশগুলির মধ্যে আমেরিকাই সব থেকে শেষে রাসায়নিক অস্ত্রের ‘ঘোষিত সম্ভার’ ধ্বংস করারকথা জানাল।
রাসায়নিক অস্ত্রবিরোধী আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থা ওপিসিডব্লিউ গত মে মাসে জানিয়েছিল, তখনও পর্যন্ত আমেরিকা ছাড়া চুক্তিতে সই করা অন্যদেশগুলি তাদের রাসায়নিক অস্ত্রের সম্ভার ধ্বংস করে ফেলেছে। যার পরিমাণ ৭০ হাজার টনেরওবেশি। চুক্তি অনুযায়ী আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সমস্ত রাসায়নিক অস্ত্র নষ্ট করে ফেলতে বলা হয় আমেরিকাকে।
প্রথম বিশ্ব যুদ্ধে জার্মানি প্রথম রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছিল। তার পরে বিভিন্ন দেশ সেই অস্ত্রে শান দিয়েছে নিজের মতো করে। ১৯৯০ সালে রাশিয়ার পরে ঘোষিত রাসায়নিক অস্ত্রের সব থেকে বড় সম্ভার ছিল আমেরিকার। ২০১৭ সালেই তারা সমস্ত রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করে ফেলেছে বলে দাবি রাশিয়ার। ১৯৯০ সালে আমেরিকায় মজুত প্রায় ২৮,৬০০ টন রাসায়নিক অস্ত্র গত এপ্রিলে কমে ছ’শো টনের নীচে চলে এসেছিল।
তবে এ সবের পরেও কোনও কোনও দেশ গোপনে রাসায়নিক অস্ত্র রেখে দিয়ে থাকতে পারে বলে অনেকেরই আশঙ্কা। সমস্ত রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস নিশ্চিত করতে নজরদারি চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন বাইডেন। হাতে গোনা যে ক’টি দেশ চুক্তিতে সই করেনি, তাদেরও মজুত রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।