—ফাইল চিত্র
আর এক মাসও বাকি নেই। আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে আগামী ২০ জানুয়ারি শপথ নিয়ে হোয়াইট হাউসে আসছেন জো বাইডেন। বারাক ওবামার আমলে একটানা আট বছর ভাইস-প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন তিনি ৭৮। এ বার চ্যালেঞ্জও বিস্তর। গত কাল বাইডেন নিজেই টুইট করে বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে একসঙ্গে চারটি ঐতিহাসিক সঙ্কটের মধ্যে রয়েছি আমরা— করোনা অতিমারি, দেশজোড়া বেহাল অর্থনীতি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বর্ণবৈষম্য। তাই আর সময় নষ্ট করা মতোও সময় নেই আমাদের। এ সবের মোকাবিলা করতেই হবে। জানুয়ারিতে শপথ নেওয়ার প্রথম দিন থেকেই যাতে মাঠে নেমে পড়া যায়, সেই চেষ্টাই করছে আমার টিম।’’
মানসিক ভাবে প্রস্তুত বাইডেন নিজেও। কোভিড-১৯ রিলিফ বিলে কেন সই করেননি, গত শনিবারই পূর্বসুরি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই প্রসঙ্গে একহাত নিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, ‘‘করোনা অতিমারির জেরে দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ ভয়ঙ্কর অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। তাঁরা জানেন না আগামী দিনে কী ভাবে রুটি-রুজির সংস্থান হবে। গোটা দেশের অবস্থাই বেহাল। অথচ বিদায়ী প্রেসিডেন্ট তার দায় ঝেড়ে ফেলতেই এখনও ত্রাণ-বিলে সই করছেন না।’’
কাল অবশ্য বাইডেন ‘চার ঐতিহাসিক সঙ্কট’ নিয়ে টুইট করার পর-পরই ওই কোভিড-রিলিফ বিলে সই করেন ট্রাম্প।
আরও পড়ুন: উহানে করোনা সংক্রমণের খবর প্রচারের ‘অপরাধে’ ৪ বছরের জেল
ট্রাম্পের বিল-সইয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে আমেরিকা। কিন্তু মার্কিন কংগ্রেসের দুই কক্ষেই বিপুল ভোটে পাশ হয়ে যাওয়ার পরেও ট্রাম্প কেন এই ত্রাণ বিলে সই করা নিয়ে গড়িমসি করছিলেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, বাইডেনের পথে কাঁটা বিছিয়ে রাখতেই এটা ছিল ট্রাম্পের শেষবেলার ষড়যন্ত্র।
আরও পড়ুন: মতবিরোধ কাটিয়ে ৯০ হাজার কোটি ডলারের করোনা ত্রাণ বিলে সই ট্রাম্পের
তবে আগামী দিনে সমস্যা বাড়তে চলেছে, গতকালই সে প্রসঙ্গে আরও এক বার সতর্ক করেন আমেরিকার শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউচি।
তাঁর কথায়, ‘‘আমেরিকায় অতিমারি সংক্রমণ আগামী কয়েক দিনে ভয়ঙ্কর চেহারা নেবে। ছুটির মরসুমেই অতিমারির প্রভাব ভাল ভাবে টের পাওয়া যাবে।’’ বাইডেনেরও দাবি, এখনও সতর্ক হওয়ার সময় আছে। কিছু দিন আগেই ক্যামেরার সামনে ফাইজ়ারের করোনা-টিকা নেওয়া বাইডেন বলেন, ‘‘যাঁরা ভাবছেন কোভিড-অতিমারির সবচেয়ে খারাপ সময়টা আমরা পেরিয়ে এসেছি, তাঁরা কিন্তু ভুল ভাবছেন।’’