প্রতীকী ছবি।
জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-র প্রাক্তন সামরিক প্রধান আসাদুজ্জামান চৌধুরীকে গাজিপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বৃহস্পতিবার রাতে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। নেত্রকোণায় বামপন্থী সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচীর দফতরে বোমা হামলায় ৮ জন নিহত হওয়ার মামলায় এই জঙ্গির প্রাণদণ্ড দিয়েছিল বাংলাদেশের আদালত। তার সঙ্গে একই শাস্তি হয়েছিল জেএমবি-র অন্য দুই মাথা সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাই, আতাউর রহমান সানি এবং আরও তিন জঙ্গির। তবে অন্য মামলায় বাংলা ভাই এবং সানির আগেই ফাঁসি হয়ে গিয়েছে।
নেত্রকোণা শহরে ২০০৫-এর ৬ ডিসেম্বর উদীচী ও শতদল সাংস্কৃতিক সংস্থার দফতরে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায় জেএমবি। ৮ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছিলেন এই ঘটনায়। বাংলা ভাইয়ের নির্দেশে হওয়া সেই হামলাটি পরিচালনার প্রধান দায়িত্বে ছিল জঙ্গি আসাদুজ্জামান চৌধুরী ওরফে পনির। নিম্ন আদালত প্রাণদণ্ড দেওয়ার পরে হাই কোর্ট এবং হাই কোর্টের আপিল বিভাগ তার ফাঁসির রায় বহাল রাখে। বৃহস্পতিবার রাতে আসাদুজ্জামানের প্রাণদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে ঘোষণা করেন সিনিয়র জেল সুপার মহম্মদ গিয়াসউদ্দিন। তিনি জানান, রাত সওয়া ১টার সময়ে ওই জঙ্গির দেহ পুলিশি পাহারায় ময়মনসিংহে তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে সৎকারের জন্য পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বিস্ফোরক আইনের আরও দুটি মামলায় আসাদুজ্জামানের ২০ বছর করে এবং একটি মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল।