জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মিড ইনফ্রারেড লাইট ক্যামেরায় তোলা ‘পিলারস্ অফ ক্রিয়েশন’-এর ছবি। ছবি: টুইটার।
কমলাটে লাল আকাশে চুমকির মতো অজস্র তারা। তার ওপরই ভেসে আছে কালো ঝুলের মত খাপছাড়া তিনটে স্তম্ভ। হঠাৎ দেখলে হ্যারি পটারের সিনেমার গায়ে কাঁটা দেওয়া পিশাচের কথা মনে পড়তে পারে। তবে তা যদি নাও হয়, ভুতুড়ে মনে হবেই। অন্তত নাসা তা-ই মনে করেছে। সে জন্য বেছে বেছে হ্যালোউইনের দিনেই প্রকাশ করেছে ছবিখানা।
ভুতুড়ে এবং যাবতীয় অদ্ভুতুড়ে জিনিসেরই উদযাপন হয় হ্যালোউইনে। নাসার ছবিটি দেখে ভুতুড়ে লাগলেও অবশ্য এর সঙ্গে ভূতের কোনও সম্পর্ক নেই। বরং ছবিতে যা দেখা গিয়েছে তার থেকেই সৃষ্টির শুরু, বলে বিশ্বাস বিজ্ঞানীদের একাংশের। ঝুলের মত দেখতে তিনটি স্তম্ভের নাম ‘পিলারস্ অফ ক্রিয়েশন’। যার বাংলা অর্থ করলে দাঁড়ায় সৃষ্টির স্তম্ভ।
বাঁ দিকে, হাবল টেলিস্কোপে তোলা ছবি। ডান দিকে, জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের ইনফ্রারেড ক্যামেরায় তোলা ‘পিলারস্ ওফ ক্রিয়েশন’-এর ছবি। ছবি: পিটিআই।
সৃষ্টির স্তম্ভ রয়েছে ঈগল নক্ষত্রপুঞ্জে। যা পৃথিবী থেকে না হোক সাড়ে ছয় হাজার আলোকবর্ষ দূরে। আর আকারেও বিশাল। ছবি দেখে অবশ্য এর ব্যাপ্তি বুঝতে অসুবিধা হতে পারে। তবে নাসা বোঝার সুবিধার জানিয়ে দিয়েছে, ছবির সব চেয়ে উপরে ছোট বিন্দুর মতো যে তারাটি দেখা যাচ্ছে, সেটি আকারে গোটা সৌরজগতের থেকেও বড়। ছবিটি গত সপ্তাহেই তুলেছে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। এর আগে ঈগল নেবুলার ছবি তোলা হয়নি তা নয়, তবে এ বার এই ছবি তোলা হয়েছে জেমস ওয়েবের মিড ইনফ্রারেড লাইট ক্যামেরার সাহায্যে। অনেক বেশি নিখুঁত এই ছবি।